(প্রথম পর্ব)
টান টান উত্তেজনায় ভরপুর শুরু—
রাত তিনটা। পুরো গ্রাম ডুবে আছে নিস্তব্ধ ঘুমে, কিন্তু পশ্চিম দিগন্তে হঠাৎ করে ঝলসে উঠল এক অদ্ভুত রঙের আলো—নীল, সবুজ আর রক্তবর্ণের এক অচেনা মিশ্রণ। ধানক্ষেতের পাশ দিয়ে ছুটে এলো সেই অদৃশ্য কিছু, যার আওয়াজ যেন আকাশ ফেঁড়ে নিচে নামছে। ইতুমুন, এলিয়েন মেয়েটি, দম বন্ধ করে জংলা গাছের আড়াল থেকে তাকিয়ে রইল। সেই মুহূর্তে সে জানতো না—এই রাতেই তার আবার দেখা হবে সেই কিশোরের সাথে, যে একবার তাকে প্রাণ বাঁচিয়েছিল। কিন্তু এবার তাদের সামনে রয়েছে এমন এক রহস্য, যা পুরো গ্রহকেই কাঁপিয়ে দিতে পারে।
রোমাঞ্চকর কিশোর আর আবেগময় অনুরাগ—
নাম তার রোহান। গত বছর পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে প্রথম দেখা হয় তাদের—যেখানে ইতুমুন একটি ক্র্যাশড স্পেসশিপ থেকে রক্ষা পেয়ে ছুটে এসেছিল। রোহান ছিল নিঃসঙ্গ এক কিশোর, কিন্তু চোখে ছিল অদম্য কৌতূহল আর মন ছিল স্বচ্ছ জলের মতো। ইতুমুনের ভয় আর সংকোচ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় রোহানের নির্ভেজাল সাহচর্যে। সে শুধু তাকে রক্ষা করেনি, শেখায় কীভাবে মানুষের অনুভূতিকে বোঝা যায়—ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, আত্মত্যাগ।
এই পর্বে রোহান আর ইতুমুন মিলে খুঁজে পায় একটি রহস্যময় ডিভাইস, যা ভবিষ্যতের একটি ভয়ঙ্কর যুদ্ধে পৃথিবীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। কিন্তু সেই সঙ্গে শুরু হয় ভেতরের টানাপোড়েন—রোহান বুঝতে পারে, তার অনুভব দিন দিন গভীর হচ্ছে। ইতুমুনও আবিষ্কার করে, তার এলিয়েন হৃদয়ে যে স্থান সবথেকে উজ্জ্বল আলোয় জ্বলছে, তা এই পৃথিবীর এক কিশোরের জন্য।
চোখে চোখ রেখে রোহান বলে, “তুমি কি আবার চলে যাবে?”
ইতুমুন ধীরে মাথা নাড়ে, তারপর বলে, “তোমাদের পৃথিবী এখন আমারও পৃথিবী।”
এই অংশ শেষ হয় এক আবেগঘন স্পর্শে—একটি অসম্ভব সম্পর্কের শুরু, যেখানে মহাকাশ আর মাটির মাঝে গড়ে ওঠে ভালোবাসার এক সেতু।
পরবর্তী পর্বে—
এক ভয়ংকর শত্রুর আগমন, বিশ্বাসঘাতকতা, আর এক আত্মত্যাগ—যা বদলে দেবে সবকিছু।
চলমান.. ২য় পর্ব পরের পোষ্টে
#ইতুমুন #কল্পবিজ্ঞান
#শেখ_মিজান_বাবু
ছবি #ictvista ai team
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন