জাগতিক মুদ্রার যেমন এপিঠ ওপিঠ থাকে
জেনো শক্ত খোলসের ঝিনুকেও মুক্তা থাকে।
নগর নাগরিক জীবনের চরম আভিজাত্যে
বিস্মিত কবি, তবে সুখের পরশে প্লাবিত নয়।
বৃক্ষের মত প্রাণবধ সত্যি বাকি সব হবে মিথ্যে
সত্য ফরমান: “কুল্লু নাফসিন জাইকাতুল মাউত”।
অদের খালঘেষা সাত পুরুষের ভিটেমাটি
চাঁদনী রাতে ডাংগুলি খেলা সব যেত ছাপিয়া।
খন্দকার বাড়িব বড়ুই , আম্মার পানের বাটি,
বাবার কণ্ঠ:”আন্নাল কুওয়াতা লিল্লাহি জামিআ”
লাল হালের বদল, লাঙল জোয়াল, পাকা ধান
জুগিপুকুর ঘাটে চাপিলা মাছের লাফালাফি
বল্লভপুরের মাটির গন্ধে আকুল-ব্যাকুল প্রাণ।
একদিন সকল কোলাহল ছেড়ে চলে আসব
যেখানে ইমাম সাহেব ফজর বাদ জুমাবারে
সূরা ইয়া-সিন পড়ে দীর্ঘ এক মোনাজাত দেন।
মা বাবার জোড়া কবরের পাশে শুয়ে থাকব
বাঁশঝাড়ের ছায়াতলে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষাকালে
পাকপাঞ্জতনের প্রেমে দিবো এক দীর্ঘ ধ্যান।
যেখানে ঠুনকো স্বার্থও নেই, প্রতিশ্রুতির সব;
ভাই ভাইয়ে মা মেয়ে পিতা পুত্রে অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই
শব্দ-বায়ু দুষন, দুষমনি নেই, আছে শুধু সবুর
ভীরুপায়ে হেঁটে চলা পথিকের জবানে শুনব
“আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবূর”।
২৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।
ঢাকা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন