স্কুল পাঠাবার সামর্থ্য নেই।
বাবা নিখোঁজ, মা ইটভাটায়।
খেলে বেড়ায় আপনমনেই
বাতাস তাকে সাহস পাঠায়।
নোংরামতো জামার খুঁটে
আগলে রাখে পথের নুড়ি
সারাটাদিন কাটায় ছুটে –
ঝাঁকড়া চুলের দস্যিবুড়ি।
‘ক’ চেনে না, ‘ম’ চেনে না,
জানে না তার নামের বানান।
শোধ হয়নি আগের দেনা
স্কুল যাওয়া তাই খুব বেমানান।
একটা ভাঙা স্লেট ছিল তার
চক না পেলে ইটের গুঁড়ো…
আঁকত ছবি খরস্রোতার,
কিংবা বিশাল পাহাড়চুড়ো।
এখন সেসব মিথ্যে লাগে।
খিদের মতো সত্যি কোথায়?
ভাতের বানান শিখুক আগে,
ওটাই আসল এ সভ্যতায়।
দু’চোখই তার কান্না বোঝে
ঝিলম এবং সবরমতী…
স্লেটের থালায় অন্ন খোঁজে –
সে-ই আমাদের সরস্বতী!

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন