যখন সব সেরে, সব চুকিয়ে ছুটে গেলাম
বাইরে বড় দরজাটারও বাইরে
রাঙাধুলোর বিষণ্ণ পথে
তখন বাঁশিটি পড়ে ছিল..ভাঙা, সুরহীন,স্তব্ধ
গোধূলির সোনালি আলোয়
বাঁশিটিকে মনে হল
যেন এক ঝরাপাতা বুঝি
আমি আমার সবটুকু দিয়ে বাঁশিওয়ালাকে খুঁজলাম।
সন্ধ্যালগনে আকাশে ফুটে ওঠা
প্রথম তারাটি বলল…..আমি এখানে।
এক বাঁশিওয়ালা এসেছিল…..
তখন ফাল্গুন মাস
গাছে গাছে কত রঙ কত শোভা,কত পাখির কলতান।
নদীতে কী অপরূপ ছায়াময় ঢেউ
দূরপথে কী মায়াবী আলো
বাতাসে কী সুগন্ধ
এক বাঁশিওয়ালা এসেছিল
তাঁর বাঁশির সুর মোমের আলোর মত স্নিগ্ধ
তাঁর বাঁশির শব্দ পাতা ঝরার মতো পেলব
তাঁর বাঁশি কী করুণ
কী মোহময়!
সে এসেছিল জানলার পর্দা উড়লো হাওয়ায়
দুয়ারের আগল গেল খুলে
বাগানের গাছের পাতার ডালে
ছড়িয়ে পড়ল প্রজাপতির মতো রঙিন গান
আমার তখন অনেক কাজ।অনেক
ঘর সংসার সমাজ পরিবার দায়দায়িত্ব
অনেক অনেক।
মনটা আনচান করে উঠল
ভেতর থেকে কে যেন ঠেলা লাগালো….যাও যাও
দেরি কোরো না
কিন্তু আমার দেরি হয়ে গেল।
আমার পুজো,আমার গেরস্থালি,আমার কর্তব্য
আমার নিত্যদিনের
সাত-সতেরো ঝামেলা…
আমার দেরি হয়ে গেল।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন