ব্ল্যাক-মার্কেট
সুকান্ত ভট্টাচার্য
হাত করে মহাজন, হাত করে জোতদার,
ব্ল্যাক-মার্কেট করে ধনী রাম পোদ্দার,
গরীব চাষীকে মেরে হাতখানা পাকালো
বালিগঞ্জেতে বাড়ি খান ছয় হাঁকালো।
কেউ নেই ত্রিভুবনে, নেই কিছু অভাবও
তবু ছাড়ল না তার লোক-মারা স্বভাবও।
একা থাকে, তাই হরি চাকরটা রক্ষী
ত্রিসীমানা মাড়ায় না তাই কাক-পক্ষী।
বিশ্বে কাউকে রাম কাছে পেতে চান না,
হরিই বাজার করে, সে-ই করে রান্না।
এমনি ক’রেই বেশ কেটে যাচ্ছিল কাল,
হঠাৎ হিসেবে রাম দেখলেন গোলমাল,
বললেন চাকরকেঃ কিরে ব্যাটা, কি ব্যাপার?
এত টাকা লাগে কেন বাজারেতে রোজকার?
আলু তিন টাকা সের? পটল পনেরো আনা?
ভেবেছিস বাজারের কিছু বুঝি নেই জানা?
রোজ রোজ চুরি তোর? হতভাগা, বজ্জাত!
হাসছিস? এক্ষুণি ভেঙে দেব সব দাঁত।
খানিকটা চুপ করে বলল চাকর হরিঃ
আপনারই দেখাদেখি ব্ল্যাক-মাকের্ট করি।
ব্ল্যাক-মার্কেট করে ধনী রাম পোদ্দার,
গরীব চাষীকে মেরে হাতখানা পাকালো
বালিগঞ্জেতে বাড়ি খান ছয় হাঁকালো।
কেউ নেই ত্রিভুবনে, নেই কিছু অভাবও
তবু ছাড়ল না তার লোক-মারা স্বভাবও।
একা থাকে, তাই হরি চাকরটা রক্ষী
ত্রিসীমানা মাড়ায় না তাই কাক-পক্ষী।
বিশ্বে কাউকে রাম কাছে পেতে চান না,
হরিই বাজার করে, সে-ই করে রান্না।
এমনি ক’রেই বেশ কেটে যাচ্ছিল কাল,
হঠাৎ হিসেবে রাম দেখলেন গোলমাল,
বললেন চাকরকেঃ কিরে ব্যাটা, কি ব্যাপার?
এত টাকা লাগে কেন বাজারেতে রোজকার?
আলু তিন টাকা সের? পটল পনেরো আনা?
ভেবেছিস বাজারের কিছু বুঝি নেই জানা?
রোজ রোজ চুরি তোর? হতভাগা, বজ্জাত!
হাসছিস? এক্ষুণি ভেঙে দেব সব দাঁত।
খানিকটা চুপ করে বলল চাকর হরিঃ
আপনারই দেখাদেখি ব্ল্যাক-মাকের্ট করি।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২৫১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন