খবর
সুকান্ত ভট্টাচার্য
খবর আসে !
দিগ্ দিগন্ত হতে বিদ্যুদবাহিনী খবর ;
যুদ্ধ, বিদ্রোহ, বন্যা, দুর্ভিক্ষ , ঝড়------
-----এখানে সাংবাদিকতার নৈশ নৈঃশব্দ্য |
রাত গভীর হয় যন্ত্রের ঝঙ্কৃত ছন্দে------প্রকাশের ব্যগ্রতায় ;
তোমাদের জীবনে যখন নিদ্রাভিভূত মধ্যরাত্রি
চোখে স্বপ্ন আর ঘরে অন্ধকার |
অতল অদৃশ্য কথার সমুদ্র থেকে নিঃশ্ব্দ শব্দেরা উঠেআসে ;
অভ্যস্ত হাতে খবর সাজাই ------
ভাষা থেকে ভাষান্তর করতে কখনো চমকে উঠি,
দেখি যুগ থেকে যুগান্তর |
কখনো হাত কেঁপে ওঠে খবর দিতে ;
বাইশে শ্রাবণ, বাইশে জুনে |
তোমাদের ঘুমের অন্ধকার পথ বেয়ে
খবর--পরীরা এখানে আসেতোমাদের আগে,
তাদের পেয়ে কখনো কন্ঠে নামে ব্যথা, কখনো বা আসে গান ;
সকালে দিনের আলোয় যখন তোমাদের কাছে তারা পৌঁছোয়
তখন আমাদের চোখে তাদের ডানা ঝরে গেছে |
তোমরা খবর পাও,
শুধু খবর রাখো না কারো বিনিদ্র চোখ আর উত্কর্ণ কানের |
ঐ কম্পোজিটর কি কখনো চমকে ওঠে নিখুঁত যান্ত্রিকতার
. কোনো ফাঁকে ?
পুরনো ভাঙা চশমায় ঝাপসা মনে হয় পৃথিবী-----
৯ই আগষ্ট কি আসাম সীমান্ত আক্রমণে ?
জ্বলে ওঠে কি স্তালিনগ্রাদের প্রতিরোধে, মহাত্মাজীর মুক্তিতে,
প্যারিসের অভ্যুথ্বানে ?
দুঃসংবাদকে মনে হয় না কি
কালো অক্ষরের পরিচ্ছদে শোকযাত্রা ?
যে খবর প্রাণের পক্ষপাতিত্বে অভিষিক্ত
আত্মপ্রকাশ করে না কি বড় হরফের সম্মানে ?
এ প্রশ্ন অব্যক্ত অনুচ্চারিত থাকে
ভোরবেলাকার কাগজের পরিচ্ছন্ন ভাঁজে ভাঁজে |
শুধু আমরা দৈনন্দিন ইতিহাস লিখি !
তবু ইতিহাস মনে রাখবে না আমাদের-----
কে আর মনে রাখে নবান্নের দিনে কাটা ধানের গুচ্ছকে ?
কিন্তু মনে রেখো তোমাদের আগেই আমরা খবর পাই
মধ্যরাত্রির অন্ধকারে
তোমাদের তন্দ্রার অগোচরেও |
তাই তোমাদের আগেই খবর-পরীরা এসেছে আমাদের চেতনার পথ বেয়ে
আমার হৃদ্ যন্ত্রে ঘা লেগে বেজে উঠেছ কয়েকটি কথা-----
পৃথিবী মুক্ত----জনগণ চূড়ান্ত সংগ্রামে জয়ী |
তোমাদের ঘরে আজো অন্ধকার, চোখে স্বপ্ন |
কিন্তু জানি একদিন সে সকাল আসবেই
যেদিন এই খবর পাবে প্রত্যেকের চোখেমুখে
সকালের আলোয়, ঘাসে ঘাসে পাতায় পাতায় |
আজ তোমরা এখনো ঘুমে ||
দিগ্ দিগন্ত হতে বিদ্যুদবাহিনী খবর ;
যুদ্ধ, বিদ্রোহ, বন্যা, দুর্ভিক্ষ , ঝড়------
-----এখানে সাংবাদিকতার নৈশ নৈঃশব্দ্য |
রাত গভীর হয় যন্ত্রের ঝঙ্কৃত ছন্দে------প্রকাশের ব্যগ্রতায় ;
তোমাদের জীবনে যখন নিদ্রাভিভূত মধ্যরাত্রি
চোখে স্বপ্ন আর ঘরে অন্ধকার |
অতল অদৃশ্য কথার সমুদ্র থেকে নিঃশ্ব্দ শব্দেরা উঠেআসে ;
অভ্যস্ত হাতে খবর সাজাই ------
ভাষা থেকে ভাষান্তর করতে কখনো চমকে উঠি,
দেখি যুগ থেকে যুগান্তর |
কখনো হাত কেঁপে ওঠে খবর দিতে ;
বাইশে শ্রাবণ, বাইশে জুনে |
তোমাদের ঘুমের অন্ধকার পথ বেয়ে
খবর--পরীরা এখানে আসেতোমাদের আগে,
তাদের পেয়ে কখনো কন্ঠে নামে ব্যথা, কখনো বা আসে গান ;
সকালে দিনের আলোয় যখন তোমাদের কাছে তারা পৌঁছোয়
তখন আমাদের চোখে তাদের ডানা ঝরে গেছে |
তোমরা খবর পাও,
শুধু খবর রাখো না কারো বিনিদ্র চোখ আর উত্কর্ণ কানের |
ঐ কম্পোজিটর কি কখনো চমকে ওঠে নিখুঁত যান্ত্রিকতার
. কোনো ফাঁকে ?
পুরনো ভাঙা চশমায় ঝাপসা মনে হয় পৃথিবী-----
৯ই আগষ্ট কি আসাম সীমান্ত আক্রমণে ?
জ্বলে ওঠে কি স্তালিনগ্রাদের প্রতিরোধে, মহাত্মাজীর মুক্তিতে,
প্যারিসের অভ্যুথ্বানে ?
দুঃসংবাদকে মনে হয় না কি
কালো অক্ষরের পরিচ্ছদে শোকযাত্রা ?
যে খবর প্রাণের পক্ষপাতিত্বে অভিষিক্ত
আত্মপ্রকাশ করে না কি বড় হরফের সম্মানে ?
এ প্রশ্ন অব্যক্ত অনুচ্চারিত থাকে
ভোরবেলাকার কাগজের পরিচ্ছন্ন ভাঁজে ভাঁজে |
শুধু আমরা দৈনন্দিন ইতিহাস লিখি !
তবু ইতিহাস মনে রাখবে না আমাদের-----
কে আর মনে রাখে নবান্নের দিনে কাটা ধানের গুচ্ছকে ?
কিন্তু মনে রেখো তোমাদের আগেই আমরা খবর পাই
মধ্যরাত্রির অন্ধকারে
তোমাদের তন্দ্রার অগোচরেও |
তাই তোমাদের আগেই খবর-পরীরা এসেছে আমাদের চেতনার পথ বেয়ে
আমার হৃদ্ যন্ত্রে ঘা লেগে বেজে উঠেছ কয়েকটি কথা-----
পৃথিবী মুক্ত----জনগণ চূড়ান্ত সংগ্রামে জয়ী |
তোমাদের ঘরে আজো অন্ধকার, চোখে স্বপ্ন |
কিন্তু জানি একদিন সে সকাল আসবেই
যেদিন এই খবর পাবে প্রত্যেকের চোখেমুখে
সকালের আলোয়, ঘাসে ঘাসে পাতায় পাতায় |
আজ তোমরা এখনো ঘুমে ||
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৩৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন