ব্যর্থতার কথা
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
শেখ সুলতান একটা আঙুল তুললে
তক্ষুনি আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়
শেখ সুলতান নৌকোয় আমার পাশে বসে বলল,
গরম লাগছে বুঝি, এই নাও দক্ষিণের বাতাস
আমি আশ্চর্য হই না
অনেকবার দেখেছি, অসম্ভবকে নিয়ে ছেলেখেলা করার
দিকে তার খুব ঝোঁক
ঠিক ম্যাজিশিয়ান বলা যায় না তাকে
তার আলখাল্লার মধ্যে লুকোনো থাকে না পায়রা
কিন্তু সে মাটির গন্ধ শুঁকে শুঁকে ফুলগাছ বসায়
বন্যায় ভেসে আসা শিশুর গলা থেকে ছাড়িয়ে নেয়
নীল রঙের সাপ
গোরুর চোখের দিকে সেবারে সে তাকিয়ে হাসল, অমনি
যমজ বাছুর হল
তার নিজের অবশ্য গোরুও নেই, বাছুরও নেই
কিন্তু তার অনেক রাস্তা আছে, অনেক ধু ধু প্রান্তর
অনেক নদীর নিরালা ঘাট
জঙ্গলের একটা শিমুল গাছে চড়ে সে দিগন্ত পর্যন্ত
তার রাজত্ব দেখিয়েছিল একবার
মাঝে মাঝেই দেখা হয় তার সঙ্গে
প্রত্যেকবারই সে কিছু না কিছু উপহার দেয় আমাকে
এক পশলা বৃষ্টি, মেঘ-ছেড়া আলো, সকালবেলার ঐকতান
শুধু একটা জিনিসই দিতে পারে না সে
তার সেই ব্যর্থতার কথা লেখা উচিত নয় কোনো কবির
দেখো শেখ সুলতান, আমি প্রতিজ্ঞা ভাঙিনি!
তক্ষুনি আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়
শেখ সুলতান নৌকোয় আমার পাশে বসে বলল,
গরম লাগছে বুঝি, এই নাও দক্ষিণের বাতাস
আমি আশ্চর্য হই না
অনেকবার দেখেছি, অসম্ভবকে নিয়ে ছেলেখেলা করার
দিকে তার খুব ঝোঁক
ঠিক ম্যাজিশিয়ান বলা যায় না তাকে
তার আলখাল্লার মধ্যে লুকোনো থাকে না পায়রা
কিন্তু সে মাটির গন্ধ শুঁকে শুঁকে ফুলগাছ বসায়
বন্যায় ভেসে আসা শিশুর গলা থেকে ছাড়িয়ে নেয়
নীল রঙের সাপ
গোরুর চোখের দিকে সেবারে সে তাকিয়ে হাসল, অমনি
যমজ বাছুর হল
তার নিজের অবশ্য গোরুও নেই, বাছুরও নেই
কিন্তু তার অনেক রাস্তা আছে, অনেক ধু ধু প্রান্তর
অনেক নদীর নিরালা ঘাট
জঙ্গলের একটা শিমুল গাছে চড়ে সে দিগন্ত পর্যন্ত
তার রাজত্ব দেখিয়েছিল একবার
মাঝে মাঝেই দেখা হয় তার সঙ্গে
প্রত্যেকবারই সে কিছু না কিছু উপহার দেয় আমাকে
এক পশলা বৃষ্টি, মেঘ-ছেড়া আলো, সকালবেলার ঐকতান
শুধু একটা জিনিসই দিতে পারে না সে
তার সেই ব্যর্থতার কথা লেখা উচিত নয় কোনো কবির
দেখো শেখ সুলতান, আমি প্রতিজ্ঞা ভাঙিনি!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন