মনে পড়ে সেইদিন
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মনে পড়ে সেইদিন শ্রী নামে সিনেমায়
পথের পাঁচালী ছবি দেখা
সঙ্গে ছিল না কেউ, বৃষ্টি বাদলা ছিল
গোটা হল ঘরে যেন একা।
ভেতরেও বৃষ্টিতে ভিজছে দুর্গা-অপু
মাঠে ঘাটে কাটে সারাবেলা
পুকুরের জল কাঁপে, বাতাসে সেতার বাজে
আকাশ ও পৃথিবীর খেলা।
একটু পরেই আর সিনেমা দেখি না আমি
নিজেই তো হয়ে গেছি অপু
কাশবনে লুটোপুটি, আরও দূরে যেতে যেতে
বাজাচ্ছি আম আঁটির ভেঁপু।
ইন্দিরা ঠাকরুণ আমারই তো বুড়িপিসি
মায়ের বকুনি খেয়ে হাসি
দিদির পেছনে আমি ছায়া হয়ে ঘুরিফিরি
পাঠশালা ফেলে ছুটে আসি।
বাবা বহুদিন নেই, আমাদের কিছু নেই
মায়ের আঁচলখানা ভিজে
ঠিক এরকম ছিল আমাদের ছেলেবেলা
বুঝেছি খিদের জ্বালা নিজে।
হঠাৎ আকাশ ভেঙে বাদলধারার মতো
আমার দু’চোখে নামে জল
এমনই কান্নায় ভেজা, কাঁপে বুক থরথর
চারদিকে আঁধার অতল।
হল ছেড়ে ছুটে যাই বাইরে একলা কাঁদি
আজও মনে পড়ে সেইদিন
তারপর বহুবার বলেছি সে স্রষ্টাকে
আমার চোখের জল নিন।
পথের পাঁচালী ছবি দেখা
সঙ্গে ছিল না কেউ, বৃষ্টি বাদলা ছিল
গোটা হল ঘরে যেন একা।
ভেতরেও বৃষ্টিতে ভিজছে দুর্গা-অপু
মাঠে ঘাটে কাটে সারাবেলা
পুকুরের জল কাঁপে, বাতাসে সেতার বাজে
আকাশ ও পৃথিবীর খেলা।
একটু পরেই আর সিনেমা দেখি না আমি
নিজেই তো হয়ে গেছি অপু
কাশবনে লুটোপুটি, আরও দূরে যেতে যেতে
বাজাচ্ছি আম আঁটির ভেঁপু।
ইন্দিরা ঠাকরুণ আমারই তো বুড়িপিসি
মায়ের বকুনি খেয়ে হাসি
দিদির পেছনে আমি ছায়া হয়ে ঘুরিফিরি
পাঠশালা ফেলে ছুটে আসি।
বাবা বহুদিন নেই, আমাদের কিছু নেই
মায়ের আঁচলখানা ভিজে
ঠিক এরকম ছিল আমাদের ছেলেবেলা
বুঝেছি খিদের জ্বালা নিজে।
হঠাৎ আকাশ ভেঙে বাদলধারার মতো
আমার দু’চোখে নামে জল
এমনই কান্নায় ভেজা, কাঁপে বুক থরথর
চারদিকে আঁধার অতল।
হল ছেড়ে ছুটে যাই বাইরে একলা কাঁদি
আজও মনে পড়ে সেইদিন
তারপর বহুবার বলেছি সে স্রষ্টাকে
আমার চোখের জল নিন।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১১০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন