রূপালি মানবী , সন্ধ্যায় আজ শ্রাবণ ধারায়
ভিজিও না মুখ , রূপালী চক্ষু , বরং বারান্দায় উঠে এসো
ঘরের ভিতরে বেতের চেয়ার, জানলা বন্ধ দরজা বন্ধ
রূপালী মানবী , তালা খুলে নাও , দেয়ালে বোতাম আলো জ্বেলে নাও ,
অথবা অন্ধকারেই বসবে , কাচের শার্সি থাকুক বন্ধ
দূর থেকে আজ বৃষ্টি দেখবে , ঘরের ভিতরে বেতের চেয়ার, তালা খুলে
নাও।
চাবি নেই , একি! ভালো করে দ্যাখো হাতব্যাগ , মন
অথবা পায়ের নিচে কার্পেট , কোণ উঁচু করে উঁকি মেরে নাও
চিঠির বাক্সে দ্যাখো একবার , রূপালী মানবী , এত দেরি কেন ?
বইরে বৃষ্টি , বিষম বৃষ্টি , ঝড়ের ঝাপটা তোমাকে জড়ায়
তোমার রূপালী চুল খুলে দেয় , চাবি খুঁজে নও-
তোমার রূপালী অসহায় মুখ আমাকে করেছে আরও উৎসুক-
ধাক্ক-মারো না! আপনি হয়তো দরজা খুলবে , পলকা ও তালা
অমন উতলা রূপালী মানবী তোমাকে এখন হওয়া মানায় না
অথবা একলা রয়েছে-বলেই বৃষ্টি তোমাকে কোনো ছলে বলে
ছুঁতে পারবে না , ফিরতে না তুমি বাইরে বিপুল লেলিহান ঝড়ে-
তালা খুলে নাও।
রূপালী মানবী , আজ তুমি ঐ জানলার পাশে বেতের চেয়ারে
একলা এসব আঁধারে অথবা গেয়ালে বোতাম আলো জ্বেলে নাও
ঠান্ডা কাঁচের শার্সিতে রাখো ও রূপালী মুখ , দুই উৎসুক চোখ মেলে
দাও।
বাইরে বৃষ্টি , বিষম বৃষ্টি , আজ তুমি ঐ রূপালী শরীরে
বৃষ্টি দেখবে প্রান্তরময়, আকাশ মুচড়ে বৃষ্টির ধারা…
আমি দূরে এক বৃষ্টির নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছি , একলা রয়েছি ,
ভিজেছে আমার সর্ব শরীর , লোহার শরীর ,
ভিজুক আজকে
বাজ বিদ্যুৎ একলা দাঁড়িয়ে মানি না ,
সকাল বিকেল
খরচোখে আমি চেয়ে আছি ঐ জানলার দিকে, কাচের এপাশে
যতই বতাস আঘাত করুক , তবুও তোমার রূপালী চক্ষু-
আজ আমি একা বৃষ্টিতে ভিজে, রূপালী মানবী , দেখবো তোমার
বৃষ্টি না-ভেজা একা বসে থাকা।।
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ২৩৭ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন