নিরাপত্তা
তসলিমা নাসরিন
এভাবেই, যেভাবে রেখেছে আমাকে, সেভাবেই থাকতে হবে, যদি থাকি,
যদি নিতান্তই থাকতে চাই এদেশে। এভাবেই কারাগারে, বন্ধ ঘরে, একা।
–কতদিন, কত মাস বা বছর?
–তার কোনও ঠিক নেই।
–কোনওদিন কি জীবন ফিরে পাবো?
–ঠিক নেই।
–কী কারণ এই বন্ধ ঘরের?
–বেরোলেই দেশের দশটা লোকের মৃত্যু হতে পারে।
চমকে উঠি। –আমার কারণে?
চোখ নিচু করে লোক বলে,–হ্যাঁ।
বলি,–একবার মুক্তি দিয়েই দেখুন, দেখুন কতটা যুক্তিহীন এই অভিযোগ।
ওদিকে মানুষ তো ভেবে বসে আছে, আমার জন্য বুঝি সব আয়োজন,
নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা আমার জন্য, আমি যেন না মরি!
কাউকে না কাউকে নিরাপত্তা দিতে, হয়তো এ পৃথিবীরই নিয়ম,
কাউকে না কাউকে হারিয়ে যেতে হয় অদ্ভুত আঁধারে।
আমার বন্দিত্ব দশটা লোককে নিরাপত্তা দিচ্ছে,
আমার বন্দিত্ব দশটা লোককে অভাবনীয় নিশ্চিন্তি দিচ্ছে,
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কারা সেই দশজন?
তারা কি রাস্তার নাকি রঙিন-দালানবাড়ির লোক!
তারা কি আদপেই লোক, নাকি লোকেদের লোকাতীত লোকনীতি?
কাদের বাঁচাতে আজ আমাকে প্রতিদিন দেখতে হচ্ছে মৃত্যুর বীভৎস মুখ!
যদি নিতান্তই থাকতে চাই এদেশে। এভাবেই কারাগারে, বন্ধ ঘরে, একা।
–কতদিন, কত মাস বা বছর?
–তার কোনও ঠিক নেই।
–কোনওদিন কি জীবন ফিরে পাবো?
–ঠিক নেই।
–কী কারণ এই বন্ধ ঘরের?
–বেরোলেই দেশের দশটা লোকের মৃত্যু হতে পারে।
চমকে উঠি। –আমার কারণে?
চোখ নিচু করে লোক বলে,–হ্যাঁ।
বলি,–একবার মুক্তি দিয়েই দেখুন, দেখুন কতটা যুক্তিহীন এই অভিযোগ।
ওদিকে মানুষ তো ভেবে বসে আছে, আমার জন্য বুঝি সব আয়োজন,
নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা আমার জন্য, আমি যেন না মরি!
কাউকে না কাউকে নিরাপত্তা দিতে, হয়তো এ পৃথিবীরই নিয়ম,
কাউকে না কাউকে হারিয়ে যেতে হয় অদ্ভুত আঁধারে।
আমার বন্দিত্ব দশটা লোককে নিরাপত্তা দিচ্ছে,
আমার বন্দিত্ব দশটা লোককে অভাবনীয় নিশ্চিন্তি দিচ্ছে,
খুব জানতে ইচ্ছে করে, কারা সেই দশজন?
তারা কি রাস্তার নাকি রঙিন-দালানবাড়ির লোক!
তারা কি আদপেই লোক, নাকি লোকেদের লোকাতীত লোকনীতি?
কাদের বাঁচাতে আজ আমাকে প্রতিদিন দেখতে হচ্ছে মৃত্যুর বীভৎস মুখ!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন