জন্মান্ধ স্বভাব

মিলন সব্যসাচী মিলন সব্যসাচী

আদিম বৃক্ষের সুপ্ত শাখায় বাসন্তী বিবসনা
অভিসারে উষ্ণস্পর্শে ফোটে কামক্রোধী মাংসফুল
স্বর্গীয় সৌরভ বৈরি বাতাসে গৌরবে নেঁচে ওঠে
কুঞ্জবনে কূহুতানে ষোঢ়শী ফাগুন মৃদু হাসে।

সুখের সমুদ্রে তপ্ত তীর ভাঙে স্বপ্নীল তরঙ্গ
তৃষিত তরীর মাঝি শুভ্রস্রোতে হারার গন্তব্য
আদিকষ্টে কেবলই বৈঠা ঠ্যালে ছিন্নভিন্ন পালে
ক্ষয়িষ্ণু নদীও নাকি সংগোপনে নিজেকে নাঁচা।

জলের এসব গুপ্ত কারুকাজ—জন্মান্ধ স্বভাব—
জলেরা গড়িয়ে যায় কাছ থেকে দূরের দিগন্তে
ক্ষুধানদী কখনও কারো তৃষ্ণা মন্ত্রে মুগ্ধ নয়
তারই অতলে জ্বলে ওঠে কতো ক্ষধার্ত আগুন।

ত্রিকোণী নদীর মৌণ মোহনায় পরাণ মাঝিরা
তুমুল রৌদ্দুরে পুড়ে মৃত্যুময় স্তদ্ধতার কাছে—
একদিন মেনে নেয় পরাজয়—পাষাণ পৃথিবী—
ব্যাঙাচির সুরে হাসে—নদীনৃত্যে মোহনী ঝংকারে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫২ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন