যুবক অনার্য

এই চোখে তাকিয়ে দ্যাখো -কি দেখছো তুমি-
অনুরাধার মতো সিঁথি থেকে সিঁদুর মুছে যাওয়া সর্বনাশ, কবিতার মতো মহীরুহ যাকে ছুঁতে চাইলে,
না ছুঁলেও পুড়ে যায় হাত হাতের আঙুল,
কি দেখছো- উচ্চাঙ্গসংগীত সরল করে গাইতে গিয়ে মুদ্রা ভুল করা বিব্রত শিক্ষানবিশ!
সেই যে সুলেখা যাকে পেছন থেকে দেখলে মনে হয় হেঁটে যাচ্ছে এক অবর্ণিত সুখ আর সামনে থেকে
মনে হয় গ্রীবার নিচে ফুটে আছে পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠতম অসুখ;
সেই সুলেখা একদিন পাগলার মেলা থেকে
ফেরার পথে সে কী বৃষ্টি-ঝড়,ভিজতে ভিজতে
তার সবটুকু ফুটে উঠছে যেনো বা প্রবাল দ্বীপের মত
জেগে থাকা চর- দখল করতে গিয়ে খুনোখুনি
হয়ে গেলো আর প্রতিটি চোখ যেন বর্শা ফলক,
ছুটে আসছিল যত্ন করে লুকিয়ে রাখা
তোমার আদিম দুই পাহাড়ের দিকে।
তুমি কোথাও একটু আড়াল খুঁজছিলে
নিজেকে অই বর্শা ফলক থেকে একটু বাঁচাবে বোলে কিন্তু কোথাও কোনো আশ্রয় না পেয়ে তুমি
ফিরে এসেছিলে ঘরে তারপর সেকি কান্না
আর লজ্জায় লালনীল হয়ে গলে পড়া।
এই চোখে তাকিয়ে দেখছো কি সুলেখার আশ্রয়হীনতা, সেই বৃষ্টি ঝড়ের মতো না-ফেরানো অন্ধকার!
না না,যা কিছু দেখছো তুমি সে তোমার রেটিনার ভুল।ওসব কিছুই নয়।না ঝড় না বৃষ্টি
না কোনো দখলকৃত চর।
হৃদয়ে রক্তের মন্ত্র গেঁথে নিয়ে মিছিলের অগ্রভাগে স্লোগান মুখরিত আমি এক সার্বভৌম ভূমি –
যার জন্ম হয়েছিলো মুখে নিয়ে বিরুদ্ধ আগুন
আর দ্রোহের বুনন – আমি সেই সামায়রা –
আমি সেই জোয়ান অব আর্ক!

১৩৪
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন