নীরবতা—শুধু চুপ থাকা নয়, বরং এক মানসিক ভূখণ্ড, যেখানে শব্দ মরে যায়, অথচ মস্তিষ্কে যন্ত্রণার ক্ষরণ থামে না। এটি এক স্তব্ধ প্রতীক্ষা— যা ফেরার নয়, শুধুই হারানোর। নীরবতা যেন এক জীবন্ত চরিত্র, যে চিৎকার ছাড়াই ভেতর ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
নীরবতা বাইরে শান্তির মুখোশ পরে থাকে, অথচ অন্তরে গুমরে ওঠে কান্নাহীন এক ভূমিকম্প। কিছু কষ্ট আছে—যা ভাষাহীন; অনুভবে তারা এতই প্রবল যে, শব্দ তাদের বহন করতে পারে না। তখনই জন্ম নেয় এক নীরব অস্তিত্ব—এক নিঃশব্দ প্রতিবাদ, যা সম্পর্ক, স্মৃতি আর আত্মবিশ্বাসকে নিঃশেষ করে দেয়।
এ এক অদৃশ্য শত্রু, বন্ধু সেজে আসে, মিত্রের মাঝেও নিঃসঙ্গতা ঢুকে পড়ে। তবে এই নীরবতার মধ্যেই নিহিত থাকে আত্মদর্শনের সাহস—নিজের ভেতরের অন্ধকারের মুখোমুখি হওয়ার শক্তি। এই নীরবতা এক গোপন ভাষা—যা না-শোনার মধ্যেই অনুভবযোগ্য, আর না-কথার মধ্যেই সবচেয়ে সত্য।
©_অরণ্য
#অনিকেত_কান্তা
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন