তুমি ছিলে না কোনো মানুষ,
ছিলে শব্দ—
একটা তীব্র, ধ্বংসাত্মক শব্দ,
যা উচ্চারিত হতেই ভিতরটা কাঁপে।
তুমি ছিলে ভালোবাসা নয়,
ভালোবাসা-ছায়ার নিচে থাকা বিষণ্নতা,
যেমন সূর্য হাসে—পোড়াবার আগে।
তুমি ছিলে সেই সন্ধ্যা,
যার বুক ফুঁড়ে ওঠে ঝড়,
তবুও আমি চোখ বন্ধ করে ভাবি—
তুমি আসবে একদিন, হাত বাড়িয়ে, নরম আলো নিয়ে।
তুমি নষ্ট প্রেমের কবিতা—
যাকে কোনো কবি লেখে না,
তবু তার কলমে রক্ত উঠে আসে
তোমার নাম লিখতে গিয়ে।
তুমি ভাঙা স্বপ্নের আয়না,
তোমাকে ছুঁতেই আমি টুকরো হয়ে গেছি,
আমার প্রতিচ্ছবি আজ আর আমায় চেনে না।
তুমি সেই চিঠি,
যা কখনো পাঠানো হয়নি,
কিন্তু শতবার পড়ে ফেলেছি—
ভেতরের সব শব্দ অদৃশ্য হয়েও বেঁচে থাকে।
তুমি নেই,
তবু তোমার নিঃশ্বাস এখনও এ ঘরে,
আমার বালিশে জমে থাকা কান্নার পাশে
তুমি ঘুমাও—অদৃশ্য হয়ে।
আজও যখন রাত নামে,
চাঁদের আলোয় দেখি এক পৃষ্ঠা পোড়া,
তুমি আছো, ছিলে—
একটা অসমাপ্ত কবিতা হয়ে, যাকে কেউ পড়ে না, তবুও ফেলে দেয় না।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন