সারাদিনের ব্যস্ততার পর যখন নিজেকে আয়নায় দেখি
নিজেকে উলঙ্গ দেখি,
দেখি সারা শরীরে ক্ষত’র চিহ্ন।
রোদে পোড়া মুখের পাশে লক্ষ্য করি_
ভিতরটাও কেমন ঝলসে গেছে,
সেই পোড়া গন্ধে ডিওড্রিনের গন্ধও
কেমন যেন দুর্গন্ধে পরিণত হয়।
সারাদিনের ব্যস্ততার পর যখন নিজেকে আয়নায় দেখি
নিজেকে উলঙ্গ দেখি,
দেখি আমার রক্তমাখা চোখে প্রেমিকের রক্ত।
মুখ থেকে গরম প্রশ্বাস বেরিয়ে আসে
কথার সাথে মিশে যায় বিষ,
সাপের মত ফণা তুলে আমি শুধু নিজেকেই দেখি_
দেখি দিন দিন আমি কতটা বিষাক্ত।
নিজের উলঙ্গতা ঢাকতে
সারারাত নিজের সাথে যুদ্ধ করি,
চোখের রক্ত, শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে
মাথার উপর জল ছেড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকি।
রক্তমাখা চোখের তীব্রতা তখন আরো বেড়ে যায়
আরো.. আরো.. দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আমার বদ্ধ ঘরে।
উলঙ্গ শরীরে আমি ছুটে বেড়ায় সমস্ত ঘর,
মুখ থেকে বেরিয়ে আসা বিষে
সারাঘর বিষময় করে তুলি।
দৌড়াতে.. দৌড়াতে.. ভোর হয়
ভোরের পর সকাল,
খোলা চোখের স্বপ্ন_যুদ্ধ শেষে
বন্ধ চোখে আবার বেরিয়ে পড়ি মানুষের ভিড়ে;
নিজেকে ছাড়া সেখানে সবকিছুই দেখতে থাকি।
ঘোলাটে চোখ, সুগন্ধ শরীর, ঠান্ডা নিঃশ্বাস…
জীবনের সেই অন্ধ ধারাবাহিকতা।
সারাদিনের ব্যস্ততার পর আবার যখন বাড়ি ফিরি…!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন