রাস্তার ধারের ঐ ভিখারিটিকে দ্যাখো।
আহা গো! কেমন অযত্নে পড়ে আছে !
কেই বা খেয়াল রাখবে ওর?
কারও কি সময় আছে?
সবাই তো নিজেরটুকু নিয়ে ব্যস্ত থাকে,
সবাই তো আপন আপন স্বার্থে চলে,
সবাই তো প্রয়োজনের জন্যই একে অপরের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়ায়।
ঐ ভিখারিটি কারও প্রয়োজনে আসেনি
তাই তো কারও তার বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার ইচ্ছে নেই।
ভালো খাবার কিছুই পায় না খেতে
কোনো কোনো দিন একবেলা পেটও ভরে না তার।
তোমরা তো দিনে তিন-চার বেলা করে পেট পূজা করো
না হয় ওকে একবেলাই খেতে দিলে
এতে কি তোমাদের ঘরের খাবার খুব কম পড়ে যাবে?
কিন্তু না তোমরা সেইটুকুও দাও না।
কত কষ্ট করে বেচারি সারাদিন এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে কী সব খাবার খায়…
এমন সব খাবার যা সুস্থ মানুষও খাওয়ার কথা ভাবতে পারবে না।
সুস্থ মানুষ যে খাবার খেতে পারে না
ও কিন্তু সেসব খায়
তবে এই নয় যে ও অসুস্থ।
আহা গো! দেখলেও খারাপ লাগে !
এসব মানুষদের কেন জানি না ঈশ্বর বহু দিন বাঁচিয়ে রাখেন
এদের তাড়াতাড়ি তুলে নেন না
এদের অতিরিক্ত কষ্ট দেন
এদের ভালোভাবে বাঁচার পথ দেখান না।
ঈশ্বরের হৃদয় কেন এদের প্রতি এত নিষ্ঠুর
কে জানে !
এদের চোখের জলে কি ঈশ্বরের হৃদয় সিক্ত হয় না?
হে পরমেশ্বর হে বিধাতা কেন তুমি এদের প্রতি সদয় নও?
বলো তুমি জবাব দাও।
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ১৬৩ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন