কবি
শামসুর রাহমান
সেই ছেলেটা জান্লা থেকে দেখতো চেয়ে
পুকুর ঘাটে বটের ঝুরি।
দেখতো চেয়ে জলের ঘড়া, চিলের ওড়া-
কখনো ফের ইল্শে গুঁড়ি।
সবাই যখন থাকতো শুয়ে রাত দুপুরে
জড়িয়ে গায়ে ঘুমের কাঁথা,
সেই ছেলেটা একলা ব’সে শুনতে শুধু
আঁধার ঘরে তারার গাথা।
সেই ছেলেটা রাতের শেষে দেখত শাদা
রাস্তা যেন চুলের ফিতা।
পুব আকাশে সূর্য এলে বলতো হেসে,
“এইতো এলো আমার মিতা”।
আর সকলে পড়ার ঘরে দুলতো যখন
ধারাপাতের সুরে সুরে,
শুনতো সে-যে ছুটির রাখাল কোথায় যেন
বাজায় বাঁশি বহু দূরে।
শুনতো আরো নানান ধ্বনি, অচিন ঘাটে
শুনতো খেয়া-মাঝির গলা।
লেপের গুহায় শুনতো একা স্বপ্ন-নদীর
নিঝুম বুকে না’য়ের চলা।
পেন্সিলেরই রেখার মতো বৃষ্টি এলে
ঝম্ঝমিয়ে কালো ঘরে,
শুনতো সে-তো সারাবেলা মনের ঘাটে
জল পড়ে আর পাতা নড়ে।
মেঘ-মেঘালি, পাখ-পাখালি বলতো তাকে,
বর্ষা তাকে বলতো “রবি,
ঠাকুর বাড়ির ছেলে তোমায় বলুক লোকে
সবার তুমি আপন কবি”।
পুকুর ঘাটে বটের ঝুরি।
দেখতো চেয়ে জলের ঘড়া, চিলের ওড়া-
কখনো ফের ইল্শে গুঁড়ি।
সবাই যখন থাকতো শুয়ে রাত দুপুরে
জড়িয়ে গায়ে ঘুমের কাঁথা,
সেই ছেলেটা একলা ব’সে শুনতে শুধু
আঁধার ঘরে তারার গাথা।
সেই ছেলেটা রাতের শেষে দেখত শাদা
রাস্তা যেন চুলের ফিতা।
পুব আকাশে সূর্য এলে বলতো হেসে,
“এইতো এলো আমার মিতা”।
আর সকলে পড়ার ঘরে দুলতো যখন
ধারাপাতের সুরে সুরে,
শুনতো সে-যে ছুটির রাখাল কোথায় যেন
বাজায় বাঁশি বহু দূরে।
শুনতো আরো নানান ধ্বনি, অচিন ঘাটে
শুনতো খেয়া-মাঝির গলা।
লেপের গুহায় শুনতো একা স্বপ্ন-নদীর
নিঝুম বুকে না’য়ের চলা।
পেন্সিলেরই রেখার মতো বৃষ্টি এলে
ঝম্ঝমিয়ে কালো ঘরে,
শুনতো সে-তো সারাবেলা মনের ঘাটে
জল পড়ে আর পাতা নড়ে।
মেঘ-মেঘালি, পাখ-পাখালি বলতো তাকে,
বর্ষা তাকে বলতো “রবি,
ঠাকুর বাড়ির ছেলে তোমায় বলুক লোকে
সবার তুমি আপন কবি”।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন