স্রোত থেমে আছে
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
এই সূর্যস্তের মতো স্মৃতির বিকাশ ছিল,
স্রোত থেমে আছে
ওষ্ঠে লাগে তিক্ত স্বাদ, সর্বক্ষণ ললাটে সোপান
হাত দিয়ে স্পর্শ করি-এই সূর্যাস্তের মতো স্মৃতির বিকাশ ছিল,
স্রোত থেমে আছে।
তাকাই দুরের দিকে–
রেনট্রি গাছের ছায়া যেন অবিরল
পূর্বপুরুষের দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে
ছায়াতেই ফিরে আসে
দুরের ভিড়ের দিকে মুহুর্মুহু পলক বদলায়।
চার্চের বিশাল ঘণ্টা বেজে উঠলো কয়েকবার। ঠিক ক’বার? যেন
দুরের বাদামি মেঘ তাই শুনে ত্ৰস্তে চলে গেল
গড়ের পশ্চিম পারে ডিউটি-ত্বরায়।
যাক্।
স্টিমার উড়িয়ে দেয় উদাসী আওয়াজ—লাল-হলুদের এই সমারোহ
বাতাসে ছড়িয়ে রাখে মায়া, এই সূর্যস্তের মতো
স্মৃতির বিকাশ ছিল, স্রোত থেমে আছে।
কখনো মেঘের কায়া ভ্ৰাপ্তি আনে, মনে হয় ময়দান দক্ষিণে
বেহালার দিকে এক পর্বত জেগেছে।
ঐ সে দেখায় তার কপাট বক্ষের গাঢ় শোভা
স্মৃতি এরকম নয়-এ তো যেন অন্ধ ভিখারীর দিকে
পয়সা ছোঁড়ে উদ্ধত নাগর
রঙের ফসল আজ স্মৃতি নয় মোহ—
স্রোত থেমে আছে।
স্রোত থেমে আছে
ওষ্ঠে লাগে তিক্ত স্বাদ, সর্বক্ষণ ললাটে সোপান
হাত দিয়ে স্পর্শ করি-এই সূর্যাস্তের মতো স্মৃতির বিকাশ ছিল,
স্রোত থেমে আছে।
তাকাই দুরের দিকে–
রেনট্রি গাছের ছায়া যেন অবিরল
পূর্বপুরুষের দীর্ঘশ্বাস ছুঁয়ে ছুঁয়ে
ছায়াতেই ফিরে আসে
দুরের ভিড়ের দিকে মুহুর্মুহু পলক বদলায়।
চার্চের বিশাল ঘণ্টা বেজে উঠলো কয়েকবার। ঠিক ক’বার? যেন
দুরের বাদামি মেঘ তাই শুনে ত্ৰস্তে চলে গেল
গড়ের পশ্চিম পারে ডিউটি-ত্বরায়।
যাক্।
স্টিমার উড়িয়ে দেয় উদাসী আওয়াজ—লাল-হলুদের এই সমারোহ
বাতাসে ছড়িয়ে রাখে মায়া, এই সূর্যস্তের মতো
স্মৃতির বিকাশ ছিল, স্রোত থেমে আছে।
কখনো মেঘের কায়া ভ্ৰাপ্তি আনে, মনে হয় ময়দান দক্ষিণে
বেহালার দিকে এক পর্বত জেগেছে।
ঐ সে দেখায় তার কপাট বক্ষের গাঢ় শোভা
স্মৃতি এরকম নয়-এ তো যেন অন্ধ ভিখারীর দিকে
পয়সা ছোঁড়ে উদ্ধত নাগর
রঙের ফসল আজ স্মৃতি নয় মোহ—
স্রোত থেমে আছে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন