কয়েকটি কবিতা
আবদুল গাফফার চৌধুরী
এক.
নদী বলে সমুদ্রকে দ্যাখো সূর্য কতোই প্রখর
তোমার ঢেউ তো তাকে চূর্ণ করে, দেয় না পূর্ণতা আমার
ঊর্মি হলো চাঁদ আর নক্ষত্রের মিতা
আমার বুকেতে নেই দিবারাত্রি কোনোই শূন্যতা।
সমুদ্র দত্তের সুরে বলে, শোনো নদী
নদী আর নারী হলো সাগর-দুহিতা
তুমি তো কান্নার জল আমি কোলাহল
আমি যদি হল হই তুমি হলে সীতা।
সূর্য গেল অস্তাচলে চাঁদ নির্বাসিত
বেহুলা বাতাস কাঁদে সাগরের বুকে
ঝড়ে ভেসে গেছে বুঝি তার লখিন্দর
কালের ভেলায় তার ঘুম চির সুখে।
শতভিষা আকাশের ছোট তারা আজ
একদিন বড় হবে নক্ষত্রের মতো
এখনই কিশোর প্রজ্ঞা অরুণ আভায়
সাগরে জোনাকি হয়ে জ্বলে অবিরত।
দুই.
দুঃসময়ের মিত্র ভেবে যার দিকে এই হাত বাড়ালাম
বধির চিত্ত, তার কাছে যেই এই হৃদয়ের ভার নামালাম
চাঁদের পিঠে সওয়ার দেখি মিত্র সে নয়, কালাপাহাড়
বন্ধ করে একে একে ভালোবাসার সকল প্রাকার।
ভস্মাবশেষ পার হয়ে যেই শ্যামল ক্ষেতে নেমেছিলাম
নষ্ট তারার নগ্ন আলোয় যে বীজ আমি পুঁতেছিলাম
শস্য হয়ে জন্ম নিলো সবুজ পাতায় সে স্বৈরিণী
ভালোবাসার পণ্য লয়ে করলো কেবল বিকিকিনি।
তিন.
একটি কথা মনে রেখো ভুলতে গেলে কষ্ট পাবে
এই আকাশের যতো তারা অন্ধকারে হারিয়ে যাবে
তবু জোনাক জ্বালবে আলো
ছোট্ট হৃদয় বাসবে ভালো
নদীর জলে করবে খেলা নোঙর করা নায়ের বাতি
জলসা ঘরে শেষের গানের সুর ছড়াবে মত্ত হাতি।
চার.
‘তোমাকে চাই তোমাকে চাই, তোমাকে চাই’
রাতের রুপালি জোছনায় আমি তোমাকে চাই
ভোরের পাখির গানের মতন তোমাকে চাই
বিকেলের রোদ গাছের আড়ালে লুকানোর মতো তোমাকে চাই
সন্ধ্যায় লাল মেঘের রঙের লালিমা মাথা যে তোমাকে চাই
তোমার চুলের অতল কালোতে ডুবতে চাই
তোমার শরীরে ভরা বর্ষার দুরন্ত স্রোতে ভাসতে চাই
তোমার বুকের উপত্যকায় শিউলি ঝরার গন্ধ চাই
তোমাকে চাই তোমাকে চাই তোমাকে চাই।
পাঁচ.
(জ্যোতির বয়স বাড়ে না তো প্রকাশ বাড়ে এবং তা তো *পূরবীরই অলৌকিক সে সুরের ভারে-)
–অতঃপর ঈশ্বর দিলেন দেখা
বাজজীবী কালের সে রেখা
দিব্যজ্যোতি হয়ে গেলো
আকাশের নক্ষত্র হারালো
নীলিমার গ্রহকুঞ্জ
ভেসে যাওয়া মেঘপুঞ্জ
অতলান্ত সময়ের নদী
পাড়ি দিয়ে নিরবধি
*পূরবীর মগ্ন তান মনে
সত্যের বোধিরা গেল বনে
নিয়ে এলো জন্মদিন
জ্যোতির্ময় অমলিন।
ঈশ্বর নিজেই সেই নির্মাণের ভার
দিলেন শিল্পের মতো কার-
যুগ্ম হাতে তুলে তার অধীর উচ্ছ্বাস
দিলেন জ্যোতিকে তার নিজের প্রকাশ।
দিলেন সৃষ্টির মন্ত্র মৃত্যুমন্ত্র নয়
জ্যোতি তাই আজো জ্যোতির্ময়।
নদী বলে সমুদ্রকে দ্যাখো সূর্য কতোই প্রখর
তোমার ঢেউ তো তাকে চূর্ণ করে, দেয় না পূর্ণতা আমার
ঊর্মি হলো চাঁদ আর নক্ষত্রের মিতা
আমার বুকেতে নেই দিবারাত্রি কোনোই শূন্যতা।
সমুদ্র দত্তের সুরে বলে, শোনো নদী
নদী আর নারী হলো সাগর-দুহিতা
তুমি তো কান্নার জল আমি কোলাহল
আমি যদি হল হই তুমি হলে সীতা।
সূর্য গেল অস্তাচলে চাঁদ নির্বাসিত
বেহুলা বাতাস কাঁদে সাগরের বুকে
ঝড়ে ভেসে গেছে বুঝি তার লখিন্দর
কালের ভেলায় তার ঘুম চির সুখে।
শতভিষা আকাশের ছোট তারা আজ
একদিন বড় হবে নক্ষত্রের মতো
এখনই কিশোর প্রজ্ঞা অরুণ আভায়
সাগরে জোনাকি হয়ে জ্বলে অবিরত।
দুই.
দুঃসময়ের মিত্র ভেবে যার দিকে এই হাত বাড়ালাম
বধির চিত্ত, তার কাছে যেই এই হৃদয়ের ভার নামালাম
চাঁদের পিঠে সওয়ার দেখি মিত্র সে নয়, কালাপাহাড়
বন্ধ করে একে একে ভালোবাসার সকল প্রাকার।
ভস্মাবশেষ পার হয়ে যেই শ্যামল ক্ষেতে নেমেছিলাম
নষ্ট তারার নগ্ন আলোয় যে বীজ আমি পুঁতেছিলাম
শস্য হয়ে জন্ম নিলো সবুজ পাতায় সে স্বৈরিণী
ভালোবাসার পণ্য লয়ে করলো কেবল বিকিকিনি।
তিন.
একটি কথা মনে রেখো ভুলতে গেলে কষ্ট পাবে
এই আকাশের যতো তারা অন্ধকারে হারিয়ে যাবে
তবু জোনাক জ্বালবে আলো
ছোট্ট হৃদয় বাসবে ভালো
নদীর জলে করবে খেলা নোঙর করা নায়ের বাতি
জলসা ঘরে শেষের গানের সুর ছড়াবে মত্ত হাতি।
চার.
‘তোমাকে চাই তোমাকে চাই, তোমাকে চাই’
রাতের রুপালি জোছনায় আমি তোমাকে চাই
ভোরের পাখির গানের মতন তোমাকে চাই
বিকেলের রোদ গাছের আড়ালে লুকানোর মতো তোমাকে চাই
সন্ধ্যায় লাল মেঘের রঙের লালিমা মাথা যে তোমাকে চাই
তোমার চুলের অতল কালোতে ডুবতে চাই
তোমার শরীরে ভরা বর্ষার দুরন্ত স্রোতে ভাসতে চাই
তোমার বুকের উপত্যকায় শিউলি ঝরার গন্ধ চাই
তোমাকে চাই তোমাকে চাই তোমাকে চাই।
পাঁচ.
(জ্যোতির বয়স বাড়ে না তো প্রকাশ বাড়ে এবং তা তো *পূরবীরই অলৌকিক সে সুরের ভারে-)
–অতঃপর ঈশ্বর দিলেন দেখা
বাজজীবী কালের সে রেখা
দিব্যজ্যোতি হয়ে গেলো
আকাশের নক্ষত্র হারালো
নীলিমার গ্রহকুঞ্জ
ভেসে যাওয়া মেঘপুঞ্জ
অতলান্ত সময়ের নদী
পাড়ি দিয়ে নিরবধি
*পূরবীর মগ্ন তান মনে
সত্যের বোধিরা গেল বনে
নিয়ে এলো জন্মদিন
জ্যোতির্ময় অমলিন।
ঈশ্বর নিজেই সেই নির্মাণের ভার
দিলেন শিল্পের মতো কার-
যুগ্ম হাতে তুলে তার অধীর উচ্ছ্বাস
দিলেন জ্যোতিকে তার নিজের প্রকাশ।
দিলেন সৃষ্টির মন্ত্র মৃত্যুমন্ত্র নয়
জ্যোতি তাই আজো জ্যোতির্ময়।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১২১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন