(রফিক আজাদকে)
বুনো আগুনের ছেঁড়া দহনেই করেছি মাতম শুধু,
পাপের মোড়কে দু’হাত ঢুকিয়ে পাখিদের আর তরু
বীথিদের সাথে চারিয়ে দিয়েছি নৃশংস ডম্বুরু
মাটিতে মর্মে হায়রে এ কোন দহনের হলো শুরু।
নীরব প্রাণের কণার জন্যে কীইবা রাখবো আর,
বোধিমূল থেকে সরে গেছে জল, রক্তের ব্যবহার
খোলেনা এখন প্রভাত কুসুম সম্মেলনের দ্বার
প্রাণসম্মুখে, বোধিমূল হায় পুড়ে হলো ছারখার!
এ কার নিপট হাতের ইশারা? দেবতায়-দ্রাক্ষায়
সমটান দিয়ে আমাকে নিচ্ছে টেনে কালো প্রেক্ষায়।
যার সাথে হাসি, সেই ফের দ্যাখো হাহাকার কান্নায়
বিষাদ জমিয়ে শোণিত শস্যে আগুন ছড়িয়ে যায়!
তাইতো পারি না নেভাতে আগুন চারিদিক থেকে যারা
নেভাতে আসবে, তাদের চোখেও হতাশার খরধারা
ফাঁদ পেতে আছে মাকড়ের মতো জালে বাঁধা পড়ে তারা
পোকার মতোন অসহায় নিয়ে চোখে হতাশার ধারা
অন্তিমে তবে মাতমই মুক্তি? যন্ত্রের বিবসনা
বধূর কাছেই উদোম স্নায়ুকে দিনরাত একটানা
প্রকাশিত কোরে- প্রকাশিত কোরে নীরব প্রাণের কণা
তুলে দেবো তাকে? দিনরাত শুধু দিনরাত একটানা?
বৃথাই তা’হলে প্রাণকে বলেছি পাখি তরুদের সখী,
বাষ্পের মতো নম্র যে সুর বাজায় করুণ পাখি
বাজায় আমার রক্তে শুধুই বাজায় সে ডাকাডাকি
ছেড়া দহনের মাতামে মিলবে? পাখিদের ডাকাডাকি?
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন