কাগজ নয়, যেন এক মন্ত্রপূত মুখোশ
যার পিঠে লেখা অদৃশ্য আইন—
যা দিয়ে ভাগ হয় ভাত, বাঁচা, মৃত্যু,
এবং সত্যেরও অধিকার।
সে আয়নায় মুখ নয়,
দেখি আগুনে পোড়া গ্রাম
আর শিশুর চোখে শুকনো নদী।
হাত তুলে বলি কিছু,
কিন্তু ঠোঁট থেকে ঝরে পড়ে নীরবতা।
একটা পাতলা পাতার ডানায় চড়ে
বুলেট পাড়ি দেয় সীমান্ত,
ঘুমন্ত শহরে পড়ে যায় অশ্রুর ছাই,
আর মায়ের বুক ফেটে যায়
এক অদৃশ্য গাণিতিক ভুলে।
সে চুম্বক হয়ে টেনে নেয়
চিকিৎসা, শিক্ষা, পানি—
আর ফিরিয়ে দেয় চকচকে এক মৌন প্রতিচ্ছবি,
যেখানে ন্যায়বিচার জুতো পালিশ করে।
একটি অন্ধ আয়নায়
বসানো হয় তাজা রক্তের ফ্রেম—
যেখানে ক্ষমতা দাঁড়িয়ে থাকে ঈশ্বরের বেশে,
আর প্রতিবাদ নেমে আসে হুইসেলধারী নিঃশ্বাসে।
সে আয়না প্রশ্ন করে না,
তবু তার দিকে তাকালেই
মানুষ নিজের হৃদয় বিক্রি করে
নতুন পরিচয়ে ফেরে—
একটি জন্মসনদহীন ছায়া হয়ে।
এই আয়নায় পৃথিবী যেন প্রতিদিন
নিজেকেই নিলামে তোলে—
প্রথম ডাক যায় জলবায়ুর,
শেষ ডাক যায় চিৎকারের।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন