জানিনা তুমি পড়বে কিনা ,
একটা ছোট্ট চিঠি লিখে গেলাম-
সময়ের তো খুব অভাব,
আমার তো একদম সময় নেই;
যেন প্রাণটা গলায় থমকে আছে
একটু সুযোগ পেলেই বেরিয়ে যাবে।
অনেক দিন ধরেই বলতে চেয়েছিলাম-
রুচি অনুযায়ী আশেপাশের অবস্থা দেখে
সর্বোপরি চলিয়ে বলিয়ে –
মনের ইচ্ছা মিশিয়ে আভিজাত্য দেখে
মানুষ কাউকে পছন্দ করে ;
আমিতো নিজেকে কোনো দিক দিয়েই সেভাবে খাপ খাওয়াতে পারছিনা-
তোমার ইচ্ছার সাথে মিলিয়ে দিতে পারছিনা নিজেকে ,
লোকের পাশে কিভাবে দাঁড়াবো-
কিভাবে কথা বলবো-
এসব ঠিক সবার মতো করে করতে পারছিনা-
আমার ভাবনা সব সময় গোলমেলে,
সব জায়গাতেই ছন্দ পতন হলে,
কি করে চলে ?
বাতাসে পাতা ঝরে গেলে বায়ুর বিপরীতে চলে কি?
তোমার শখের কিছুই পূর্ণ করতে পারছিনা,
অর্থ এজীবনে আমাকে ভালোবাসবে কিনা-
তাঁর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
একটা গাড়ি সুন্দর ছবির মতো বাড়ি –
স্বপ্নেও অমিল আমার কাছে ।
তাই কষ্ট পেয়ে লাভ কি?
জীবনটা তো পৃথিবীতে উপভোগ করার জন্যে-
সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে বাঁচা-
কিন্তু আমার তো তেমন কোনো সাধ নেই-
তাই সমন্বয় শুধু হাঁচা ;
কিন্তু আমার বাঁচার খুব ইচ্ছে –
আমি- আমি- খুব বাঁচতে চাই –
আমি চিৎকার করে বলতে চাই-
আকাশের কানে চিৎকার করে বলতে চাই- আমি বাঁচবো-
সেই কথাটা যেন বজ্রের মতো বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পরবে সারা আকাশ,
আর কাল বৌশাখীর ঝোড়ো বৃষ্টির মতো ঝরে পড়বে পৃথিবীতে –
শ্যামলে সবুজে ভরে যাবে সারা পৃথিবী –
যা কিছুই চাই -যা কিছুই -আমার ভালো লাগে
সেটা মনে হয় যেন আমার মনকে কেউ বলে রেখেছে,
আকাশ যেন আমার মনকে শিখিয়ে দিয়েছে-
দু চোখ দিয়ে তাকিয়ে দেখতে-সারা ব্রম্ভাণ্ড অবারিত করে ,
বাতাস বলে যায় শান্ত হয়ে অনুভব কারো,
খুব শীতল মনোরম লাগবে পৃথিবীর সব কিছু-
তেমনি চাঁদ কি কাউকে ভালোবাসতে মানা করেছে ?
সূর্য সবার কাছেই সমান আলো দেয় ,
আমার কাছে মনে হয় জীবনটা যেন এক আত্মিক সাধ পূরণের যাত্রা।
শুধু খাওয়া পড়া আর দেখিয়ে চলার জীবন তো খাঁচার পাখি।
দেখো বাইরে এতো সুন্দর মধুর বাতাস আর তাতে ফুলের গন্ধ বইছে,
কিন্তু তাকে আটকে দিয়ে পাঁচিল তুলে ঘরে বদ্ধ হয়ে বসে থাকা বোকামি নয় কি?
গাছের নিচে একটু বসে জীবনটা উপভোগ করে দেখিনা —
আমিতো এক দুর্ভাগা মানুষ –
যে সুখ কাকে বলে তোমাদের মতো করে বোঝে না !!!
গাছতলাতে বসে থেকে কি সুখ আছে ?
আমার সাথে জীবন জুড়ে কেন কষ্ট পাবে ,
তাই তুমি তোমার মতো করে জীবন ভোগ করো –
আমি মুক্তি নিলাম ,
ফিরে যাচ্ছি সেই আমার প্রিয় মার কাছে যার কোলে জন্ম নিয়েছিলাম-
চির বিদায় !!!!!

পরে পড়বো
৬৩
আবৃত্তি করেছেন: অ ম রে ন্দ্র সেন
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন