তোমায় দেখে আমার হৃদয়
শিখেছিল প্রথম ভালোবাসতে-
পুরুষ সুখের আশ্রয়ে নারীকে চায়
জীবনের মধুর আনন্দে ভাসতে ,
সেই মোহে সেই আদিম আকর্ষণে .
চেয়েছিলাম আনন্দে ভেসে যেতে-
তোমার সুন্দর চঞ্চল চোখ দুটি দেখে
আর মায়াবী হাসিতে উঠেছিলাম মেতে;
আজও যেন খুঁজে পাই তোমায়
মনের মাঝে তেমনি উষ্ণ স্রোতে ।
জানিনা এতো দিন পরে –
যদিও কেউ বলে নাই
তুমি পৃথিবীতে আছো কিবা নাই ,
তবু তুমি আছো তেমনি ভাবে
যেমন সবাই আছে যতো-
মনের মাঝে বাস্তবে-
নয়কো ছবির মতো।
সেই বকুল তলা-আম জামের
শ্যামল ছায়ায় আজও তুমি
লাবণ্যময়ী সরসী রূপসী ;
আজো আছ হৃদয়য়ের কাছে
ছরায়ে তোমার মধুর হাসি ।
যেমন আজ ফুটে রয়েছে-
অজানা কত ফুল চারিদিকে
পাশের সব কিছুকে করেছে সুন্দর-
মনের মাঝে মধুর গন্ধের ঘোর –
তুমি নেই কিন্তু তবু রয়ে গেছ,
যেখানেই দেখি সেখানেই আছ ;
যেই অনুভূতি ছিল সেই সময়
এখনো আছে তেমনি ভাবে ধরে-
শুধু একটু বদলে গেছে-
বাস্তব জগৎটা সময়ের তোরে;
ফুলের পাশে ঘাসের পরে ,
গাছের নিচে নদীর ধারে ,
আজও তোমার হাতছানি –
ডেকে যায় তেমনি ইশারায়
তোমার মায়াবী চোখ দুখানি।
তোমাকে পাইনি- আমিও তোমার হতে পারি নাই,
সশরীরে বা কাছে কাছে একই ঘরে-এক শহরে –
হয় নাই কোনো শরীরের স্পর্শ
কিন্তু তবু যেন জীবনে মধুর হর্ষ –
তোমাকে নিয়েই রয়ে গেছে – রয়ে যাবে-
তাই মনে হয় মনে মনে যে আনন্দ- সে সুখ,
যে মুগ্ধতা যে নিবিড় আকর্ষণ-
তুমি আমার কাছে ছিলে মনে মনে
সেকি বাস্তবে থাকার চাইতে কম ?
যেখানে শরীর ক্লান্তিতে মনকে দেয় বিষিয়ে –
সেখানে হ্রিদয় শুস্কতায় যায় হারিয়ে ,
সেখানে জীবনের কোন স্বার্থকতা ?
মনের মুগ্ধতা দিয়ে নিস্কলুষ আনন্দ নিয়ে-
তোমাকে নিয়ে আজও মনে মনে সুখে বেঁচে আছি
এতে কি কম সুখ-কম স্বার্থকতা ?

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৩৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন