জোড়াসাঁকোর আঙিনায়, আলো ছড়াল এক প্রদীপ,
কাব্যের জ্যোতিতে ভাসল, গানের মোহিত সঙ্গীত।
জন্ম নিল এক কবি, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আলো,
ভারতের মাটিতে ফুটল, বিশ্বসাহিত্যের রত্নমালা।
গীতাঞ্জলির গীতিতে মিশল, আত্মার মুক্ত আহ্বান,
শান্তি ও প্রেমের বাণী, ছড়াল সারা জাহান।
নোবেল পুরস্কার হাতে, বিশ্ব দেখল তাঁর কীর্তি,
বাংলা ভাষার গৌরবে, লিখলেন মহৎ স্মৃতি।
নাট্যকার, শিল্পী, দার্শনিক, গীতিকার অসাধারণ,
রবিঠাকুর ছিলেন যেন, সৃষ্টির মহাবিস্ময়।
মাঝে মাঝে প্রকৃতির ডাকে, পল্লীর মাটিতে ঘুরে,
নদী, গাছপালা, মাঠের মাঝে, জীবন খুঁজলেন ভেবে।
বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা, জ্ঞানের আলোতে প্রজ্জ্বল,
শিক্ষার সৃজনশীল পথ, দেখালেন তিনি অনল।
স্বদেশ প্রেমে জ্বলল তাঁর কলম, বিদ্রোহের ভাষায়,
বিচারের রশ্মিতে ফুটল, মুক্তির অনন্ত হাসায়।
জাতীয় সংগীতের সুরে, ভারত হল ঐক্যবদ্ধ,
বাংলাদেশের হৃদয়ে, মিশল তাঁর সুমিষ্ট।
প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা, সবকিছু তাঁর ছন্দে,
কবিতার প্রতিটি লাইনে, বেঁধেছেন জগৎ ধ্রুবতারে।
কবি, তুমি আজও আছো, বইয়ের পৃষ্ঠায় জীবন্ত,
তোমার আলোয় পথ চলে, মননে চেতনা প্রভান্ত।
তোমার কীর্তি চিরদিন, বাংলার মাটির গর্ব,
রবীন্দ্রনাথ, তুমি হলে, চির অমলিন সুরভি।
তোমার লেখা, তোমার গান, হৃদয়ে আজও বাজে,
প্রাণের বাঁধনে বাঁধা তুমি, বাংলা মায়ের মাঝে।
জীবনের গান গেয়ে গেলে, প্রেমের কবিতা লিখে,
তোমার নামে অমলিন, বিশ্বের ইতিহাস ঠিকে।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন