মানুষের জীবনের সার্থকতা কি?
দার্শনিক- সুখ।
জীবনের ব্যর্থতা কি?
দার্শনিক-বেদনা।
সুখ ও বেদনার এর মাঝে পার্থক্য কি?
-দার্শনিক উত্তরে বললেন, সুখ হলো অস্থায়ী অস্তিত্ব।
আগন্তুক পুনরায় প্রশ্ন করলেন, অস্থায়ী কেন?
দার্শনিক সাবলীল ভাষায় উত্তর দিলেন-
সুখকে মানুষ আপন ইচ্ছেই ধরে রাখতে পারে না এবং পারেনি কখনো। যার ফলেই পৃথিবীতে যাবতীয় ভুল এর উৎপত্তি।
আগন্তুক আবারে প্রশ্ন করলেন-
ভুল এর উৎপত্তি কি আমাদের সুখ বিসর্জন এর মধ্য দিয়ে ঘটে?
– দার্শনিক বললেন-
সুখ কে হারানোর মধ্য দিয়ে মানুষ তাকে ভুল পথে আবিস্কার করে।
আগন্তুক খানিকটা জিড়িয়ে পুনরায় প্রশ্ন করলেন-
বেদনা কি?
-দার্শনিক কিছুটা হাসি মুখে উত্তর দিলেন-
বেদনা মানুষের স্থায়ী অবস্থান। এটি ব্যক্তির একমাত্র আপন এই ভূবনে। বেদনা সত্যিই আপন।কেননা দূঃখ ধনী গরীব ভেদাভেদ না করে উভয়ের ভিতরে বাধাহীন ভাবে প্রবেশ করে।
আগন্তুক বললেন-
বুঝলাম না!
দার্শনিক বললেন-
মানুষ মাতৃগর্ভে থেকে জন্মের সময় তার মাকে বেদনা দিয়ে নিজে কান্নার মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে আগমন করে।
আগুন্তক বললেন-
সুখ দুঃখের বন্টননামা নীতেতে বরাবর কি দূঃখ জিতে যায়?
নাকি স্বার্থলোভী মানুষ এর ন্যয় সুখও জয়লাভ করে?
দার্শনিক উত্তরে বললেন-
নিজের মাঝে যুদ্ধ পরিচালনায় বিজয়ী কে হয়?
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন