পরিচিতি: মোঃ রাকিবুল হাসান ২০০৪ সালে পটুয়াখালী জেলাধীন বাউফল উপজেলার অন্তর্গত আলকি নদীর তীরে গুলবাগ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল জলিলও মা মাহমুদা বেগম। নাজাতের মঞ্চে
থেকেই তার লেখালেখি শুরু হয়। কুড়িমুকুল,মাসিক বিকাশ,তাবলীগ পত্রিকা, এবং কিশোর আলো পত্রিকায়ও তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।কবিতার জগতেই তাঁর বিচরণ থাকলেও ইসলামী লেখাগুলোতে তার আন্তরিকতা বেশি। লেখক বলেন:একমাত্র আল্লাহর জন্য লিখে যাচ্ছি। ভালো হচ্ছে না,পাঠক গ্রহণ করছে না। তবুও হ-য-ব-র-ল কিছু লিখে যাচ্ছি। মনে যা আসে তা-ই লিখি,প্রকাশ করি। লৌকিকতা বা লোকো সম্মান পাওয়ার আশায় কখনোই লেখার পিছনে এগিয়ে যায়নি।
রাকিবুল হাসানের অনুগল্প, কাল্পনিকতা,কবিতাগুলো সাধারণত জীবনবোধ,প্রেম, প্রতিবাদ, দেশাত্মবোধ ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন হিসেবে পরিচিত। তার কিছু উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো:
"এমতিয়ান মানেই নিরব হাঁসি: এই কবিতায় তিনি নিঃশব্দ হাসির মাধ্যমে মানবিক সহানুভূতির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
"আত্মপ্রকাশ": এখানে তিনি নিজের আত্মবিশ্বাস ও সংগ্রামী মনোভাব প্রকাশ করেছেন, যা তাকে জীবনের প্রতিকূলতাকে জয় করতে অনুপ্রাণিত করে।
"সময়কে মনে রাখুন"এটি একটি প্রতিবাদী কবিতা, যেখানে তিনি সময়ের মূল্য ও মানুষের আচরণের প্রতি সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তার জনপ্রিয় উপন্যাস "আমি একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান" নিঃস্ব দারিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা ফুটে উঠছে,
তাঁর লেখা বেশিরভাগ অনুগল্প, কাল্পনিকতা, কবিতারই নাগরিক জীবন,বাস্তবতা ও প্রতিবাদীর প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়। কারণ রাকিবুল হাসান তার কবিতার মাধ্যমে সমাজের নানা দিক তুলে ধরেন এবং পাঠকদের মধ্যে সচেতনতা ও মানবিক মূল্যবোধের চেতনা জাগ্রত করতে চান।