সন্ধ্যার প্রান্তে স্থির দাঁড়িয়ে প্রতীক্ষার ছায়া,
নিস্তব্ধতার বুকে চূর্ণ স্বপ্নের নির্বাক শোক,
অপরাহ্নের ক্লান্ত রোদ দিগন্তের রঙিন শিরায় ঝরে,
স্তব্ধ ছায়ারা মুখ লুকায় রাতের রূপালি ঢেউয়ে,
সময়ের নিরব ঘ্রাণে জেগে থাকে— স্থির অপেক্ষা।
স্মৃতির ধূলিমলিন গলি, শূন্যতার অপূর্ণ জলছাপ,
হৃদয়ের গহীনে গাঁথা অনামা প্রতীক্ষার দলিল,
শব্দের জন্ম হয়নি, স্পর্শের ভাষা মলিন,
আলো-অন্ধকারের দোলাচলে গুমরে থাকে সময়,
অপেক্ষারা ফসিল হয়ে ঝরে— ধূলির অতলে।
চোখের পাতায় জেগে থাকা বিস্মৃত আলোক রেখা,
পৃথিবীর সমস্ত আর্তনাদে লীন হয় প্রতিধ্বনি,
ভগ্ন প্রত্যাশার মৌন গহ্বরে সময় ফেলে ছায়া,
দগ্ধ আত্মার মর্মরে জেগে উঠে চিরন্তন ব্যথা,
সমাপ্তির অপেক্ষায় উদ্বেলিত হয়— নিঃশব্দ প্রতীক্ষা ।
হাওয়ার বিষণ্ন আর্তনাদে কান পাতলে শোনা যায়,
শব্দহীন আকাঙ্ক্ষার নিভে যাওয়া প্রতিধ্বনি,
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা শূন্যতা,
আলো আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সূর্যও কুয়াশাচ্ছন্ন,
অদৃশ্য স্রোতে ভেসে যায়— সমস্ত আরাধনা।
স্রোতস্বিনী রাত, ধ্বংসের ভেতর বুনে চলে নৈঃশব্দ্যের মালা,
ভাষাহীন স্পর্শে আঁকা হয় নিষিদ্ধ উপাখ্যান,
নিভে যাওয়া প্রদীপের আলোয় তখনও জেগে থাকে
ভগ্ন প্রত্যাশার নির্বাক প্রহর, সীমানাহীন রাত,
ছায়ার মতো নিঃশব্দ প্রতীক্ষা— অনন্ত, অবিনশ্বর।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন