চাঁদের বিমূর্ত আলোয় ধৌত স্রোতের অন্তর্গত স্তব্ধতা,
স্রোতের কণ্ঠে বাজে চন্দ্রাবিষ্ট প্রার্থনার ঝিলিক,
অন্ধকারে আলো ফুটথাচর অবিনাশী চুম্বন,
জল হয়ে ওঠে ভাষা অনুভবে দ্রবীভূত আত্মা,
নীরব বর্ণমালা স্রোতের বুকে চঞ্চল ।
দিগন্তের নিবিড় স্তব্ধতায় কণ্ঠ নাভিমূল থেকে জাগে,
লেখা হয় নিশীথের জ্যোৎস্নাময় আত্মজৈবনিক,
চাঁদের কিরণে কাঁপে তৃষ্ণার গোপন জ্বালা,
নদী শোনে— আদি রাগ, দাহ, আর দয়ার গাঁথা,
জোয়ার-ভাটার ভেতর রচে নীরবতার লিপি।
জল কাঁদে না, বয়ে চলে চন্দ্রালোকে ধোয়া প্রাচীন প্রতিজ্ঞা—
নাম-পরিচয় নেই, শুধু বেদনার সারস্বত রেখা,
জেগে থাকে যন্ত্রণার ভিতরে আশ্বাসের কণ্ঠস্বর,
জ্যোৎস্নায় পুনর্জন্মের স্রোতে চুপচাপ ভালোবাসার আহ্বান—
জল— অনন্ত এক কবি, কলম চাঁদ, কালি ক্ষতবিদ্ধ সময়।
আত্মা মানে নদীর মতো ভুলে যেতে শেখা, প্রেম নিঃশব্দে প্রবহমান,
চাঁদ আলো নয় শ্রাবণচিত্র মাতাল দর্শন মগ্ন অনুশোচনা,
চাঁদের উত্তাপহীন সোহাগে জন্ম নৈঃশব্দ্যের অতল গান,
নদীর কণ্ঠ হয়ে ওঠে প্রজ্ঞার প্রতিধ্বনি স্রোতস্বিনী প্রহর।
বিষাদ ও ভালোবাসা নদীজ গল্প, অনুচ্চারিত অভিমান।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন