শতাব্দীর গহ্বরে নিমজ্জিত রক্তের জলছাপ,
শৃঙ্খলিত স্বপ্নের শিরায় ক্ষতবিক্ষত ইতিহাস,
দগ্ধগ্লানি অন্ধকারের শাসনে—
বর্ণমালা কাঁদে, স্তব্ধ প্রতিধ্বনি ভেসে যায়,
পাণ্ডুলিপির পাতায় জাগ্রত— স্বাধীনতা।

শিকল ছিঁড়ে জেগে ওঠে প্রতিজ্ঞার অগ্নিস্নান,
রাত্রির শিরা ছিদ্র করে প্রস্ফুটিত হয় বিপ্লবী ভোর,
সীমান্তের ধূসর প্রান্তরে— রক্ত শুকিয়ে
স্মৃতির মর্মরে জ্বলে ওঠে উন্মত্ত শিখা,
প্রতিধ্বনিত হয়— স্বাধীনতা ।

শত ধ্বংসস্তূপ ভেদ করে উঠে দাঁড়ায় বিজয়ের মিনার,
ঝলসে যাওয়া ভূমির বুকে বুনে নবজন্মের মন্ত্র,
সত্যের দীপ জ্বলে রক্তে স্নাত শ্বেতবর্ণ
দহন শেষে তাপ ছড়িয়ে দেয় নক্ষত্রে,
শবের স্তূপে জন্ম নেয় — স্বাধীনতা ।

অগ্নিশিখায় দগ্ধ হয় জীর্ণ পরাধীনতার পরদা,
ধূলিসাৎ হয় দুঃশাসনের বিষাক্ত মহল,
শূন্যতার বুক চিরে প্রস্ফুটিত হয় দ্রোহের দীপ্তি,
মাটির শিরায় বহে প্রতিজ্ঞার অবিনশ্বর ঝড়,
শুদ্ধ জ্যোতির্ময় চিহ্ন হয় — স্বাধীনতা।

আত্মার উত্তাপ আলো নিছক সূর্যের নয়,
বিসর্জনের মহিমায় রচিত অবিনশ্বর উত্তরাধিকার,
সময়ের উল্কাপিণ্ডে লেখা থাকে দাসত্বের পরাজয়,
শিকড় গাঁথে প্রতিরোধ, লালিত হয় নতুন স্বপ্ন,
স্বাধীনতার আলো— অনন্ত, অক্ষয়!।

১৪০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন