নিভে-আসা আলোয় আজও ডাকে কার অশান্ত ভোর,
হৃদয়ের আঙিনায় তুমি–
একফোঁটা শিউলি-গন্ধ, হারিয়ে যাওয়া নদীর মতো
অথচ হাত বাড়ালেই কাঁপে কেবল শূন্যের ঠান্ডা স্রোত।

প্রেম, তার অনাথ আর্তনাদে মিশে যায় রেললাইনের কুয়াশায়;
রাস্তার ধারে কোনো মেয়ে ছায়া হয়ে বসে থাকে তখন
তার চোখে জেগে ওঠে ভুলে যাওয়া চিঠির দাগ।
শহর তখন রাত্রির গায়ে সেঁটে থাকা
এক বিস্মৃত ধূলিকণা মাত্র।

আর আস্তে আস্তে খুলে যায় সময়ের নোংরা রোজনামচা
রাজনীতির লাশঘরে যেখানে
মানুষ মানুষকে চিনতে না পেরে
ঘৃণার করাত দিয়ে কেটে ফেলে স্বপ্নের ভেতরকার রোদ।
আমি দেখি বিভাজনের এই বাগানে
একটা করে শুকিয়ে যাওয়া আকাশ,
একটা করে অন্ধ হয়ে পড়া পথের পাখি।

তবু কোথাও, ভাঙা সেতুর নিচে,
মনের গভীরে কষ্ট পায় আত্ম—
এই অযথা চিৎকার, এই অগোছালো পৃথিবী
কেন যে এখনও ধরে রাখে রাজ শহরের সাঁঝবাতি,
কেন যে ভালোবেসে যায় তোমার হারিয়ে-যাওয়া নাম।

শেষে শুধু মনে হয়—
জীবন তো এক অবসন্ন রেলস্টেশন;
এখানে আমরা সবাই অপেক্ষা করি
একটা অনামা ট্রেনের,
যা হয়তো কোনোদিন আসবে না—
তবুও প্রেমের স্নিগ্ধ আর্তনাদে
সন্ধ্যার পাতায় জমে থাকে অমিয় ভূষণের রাজনগরের ধুলো-বৃষ্টি।

পরে পড়বো
৩৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন