সবাই একদিন ছেড়ে যায়—
বন্ধুরা প্রথমে শেখায়
হাসির ভিতরে কীভাবে গোপনে ফাঁটল ধরে।
হঠাৎ একদিন দেখো—
যে কাঁধে মাথা রেখে দুঃখ ভাঙতে শিখেছিলে,
সেই কাঁধটাই নেই আর পাশে;
রোদ পুড়ে খালি জায়গাটা শুধু
তোমার বোকার মতো হাত বাড়িয়ে থাকা দেখে।
প্রেমও যায়—
যতই আঁকড়ে ধরো,
নদীর স্রোতে জমা থেকে যাওয়া
এক মুঠো জল কি কোনোদিন হাতে থাকে?
ভালোবাসা সত্যি ছিল—
তবু তারই পথঘাটে
একদিন অচিন পা পড়ে,
আর তোমার নাম ভুলে যায় ওর হৃদয়ের মানচিত্রে।
জীবনও যায়—
ধীরে ধীরে,
যেন সন্ধ্যার আলো নিভে আসতে আসতে
চেনা শহরটা অচেনা হয়ে যায় হঠাৎই।
আমরা সবাই হাঁটি
একটা অনিবার্য বিদায়ের দিকে;
কেউ আগে, কেউ পরে—
কিন্তু সেদিনটা এড়াতে পারে কেউ না কোনো কৌশলে।
তবুও—
এই ছেড়ে যাওয়া,
এই না বলেই দূরে সরে যাওয়ার যন্ত্রণা—
আশ্চর্যভাবে আমাদের বাঁচায়।
কারণ হারিয়েই বুঝি,
কারা সত্যি ছিল,
কারা ছিল শুধু সময়ের আড়ালে লুকানো ক্ষণিক বাতাস।
আজ তাই আমি সংগ্রহ করি
ফেলে যাওয়া স্মৃতির ভাঙা টুকরো,
কারও কণ্ঠ, কারও হাসি, কারও প্রতিশ্রুতির ছায়া—
সব মিলিয়ে বানাই
নিজের এক নিঃসঙ্গ মহাকাশ।
যেখানে কেউ থাকে না, তবু সবাই থাকে—
কালের সীমানা ছাড়িয়ে।
সবাই একদিন ছেড়ে যায়—
এই সত্যটা যতদিন না মেনে নিই,
ব্যথা ততদিন কাঁটার মতো বিঁধে থাকে।
কিন্তু একদিন
বৃষ্টি থামে, চোখ শুকোয়,
আর আমরা বুঝি—
ফেরার পথ নেই বলেই
জীবন আমাদের সামনে
নতুন পথ খুলে দেয়।
….. ……

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন