হঠাৎ দেখা

বছর গেছে ক’টি, কে জানে ঠিক,
স্মৃতিরা শুধু গুনত তার ইতিহাস।
আজ হঠাৎ পথে, সহসা দেখা—
তুমি দাঁড়িয়ে, চোখে এক অচেনা ভাষা।

চোখের কোণে জলের রেখা নেই,
তবু মন বলল, কিছু কি ফেলে এসেছিস?
আমি কি এখনও কোন নামহীন ব্যথা!
তোমার নিঃশ্বাসে ছায়া হয়ে ভেসে থাকি?

চুলে রং ধরেছে অনেকটা,
চোখে মুখে ক্লান্তির অবর্ণনীয় ছাপ,
হাসিটা আগের মতোই তবে—
চেনা সেই আঁচ, পুরোনো গন্ধ,
ভুলতে কি পেরেছ তবে?

সব অস্বস্তি সরিয়ে বললে যখন “কেমন আছ?”
আমি বললাম, “ভালো”—মিথ্যে একেবারে।
কারণ তুমি চলে যাওয়ার পর থেকে
ভালো থাকার অভিনয় করি বটে,
ভালো থাকি কই!

এক মুহূর্তে সব ফিরে এল,
জ্যোৎস্না রাত, হাত ধরা পথ,
ভাঙা প্রতিজ্ঞা, অশ্রুবিন্দু,
একে একে সব স্মৃতিরা হল উন্মোচন।

বলতে পারিনি কিছুই তোমার কাছে,
শুধু চেয়ে ছিলাম তোমার চোখে—
সেই চেনা চাহনি আছে কি না,
এক ফোঁটা অতীত জমে আছে
কিনা!

কিছুক্ষন পৃথিবীর সব ঝড় যেন থেমে গেল হঠাৎই
তারপর চোখ ফেরাতেই দেখি
তুমি চলে গেলে অনেকটা দূরে,
সময়ের মতন……..
আমি দাঁড়িয়ে রই, দিগন্তের প্রান্তে।
ভুলে গেছো হয়তো কিন্তু
মন থেকে মুছতে পেরেছো কই?
নাকি আমিই শুধু হারিয়ে গেছি সন্ধ্যের সাঁঝবাতির অক্ষরগুলোর মত।

পরে পড়বো
২০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন