সত্যি, আপনি কি কখনও মাধবীলতাকে দেখেছিলেন?
কালচিনি, মেটেলি, স্বর্গছেড়া চা বাগানের আনাচে কানাচে
কিংবা বিস্তৃন্ন ডুয়ার্স জুড়ে?

মেয়েটা হাটছে মিছিলের সামনের সারিতে শ্রমিকের সাথে
কিংবা অনিমেষের সঙ্গে…..
দোলং লামার সঙ্গে ফিসফিস করে বিপ্লবের গান গাইতে?

৭০রের সভ্যতা স্বপ্নের সভ্যতা..
মুক্তিকামী মানুষের আত্মবলিদান
সমৃদ্ধ করেছে মানুষের স্লোগান!
লেসি গুরুঙদের বেঁচে থাকার লড়াই
মাধবীলতাকে স্বপ্ন দেখিয়েছে
সরিৎশেখরের উত্তরাধিকারের
মুক্তিআন্দোলনের মুখ হয়ে উঠতে!

ডুয়ার্সের গভীর অরণ্য ব্যাপী অভূক্তদের রোদনের মাঝেই জঙ্গল সাঁওতালদের উত্থান,
চোখে মুখে বিপ্লবের আগুন জ্বালানো আঁচ..
মাধবীলতা বেঁচে থাকে আগুনের চোখে,
আগুনের মাঝে!

ঘন অন্ধকারের বসতি গুলোতে আলোর সন্ধানে,
পাখির মত মুক্ত মানুষগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হতে লাগল রিসোর্ট আর হোমস্টের যন্ত্রনায়..
জয়ন্তী, ফাঁসখাওয়ার জঙ্গল ছাড়িয়ে
মানুষ তখন অভিবাসনের চক্করে ভারতজুড়ে বসতি গড়ছে..
ওরাই উদ্বাস্তু, বঙ্গভাষী বাংলাদেশি!
লড়াইটা রাজনীতির, ক্ষমতা দখলের!

মাধবীলতার কালো চুলে আঁধার নেমেছে হয়তো তখন..
ডুয়ার্সজুড়ে হারিয়েছে নিশ্চিত বসতির ফরমান,
ডানা মেলে উড়বার আগে পাখি দেখে নেয় শিকারীর লাল চোখ।

সাগরদীঘির নিরিবিলি চত্বরটা ততক্ষনে চুন – সুড়কির জঙ্গলে ভরে উঠেছে ক্রমশঃ,
প্রোমোটাররা রত্ন খোঁজে ওতে,
বাড়ে ব্যাংক ব্যাল্যান্স।

একান্ত নির্জনে পথ খোঁজে মাধবীলতা হারাবার,
ডিমার ব্রিজে দাঁড়িয়ে
দিনান্তের সূর্য অস্ত যাবার
অরূপ সৌন্দর্যে মোহময়ী মুখটা আজও অপেক্ষা করে থাকে ভালোবাসার, বিপ্লবের
আর শঙ্কিত হয়
অর্কদের আতঙ্কিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে!
আপনি, নিশ্চয় সেই মাধবীলতা কে চোখে দেখেননি!!!!
…………. ……..

পরে পড়বো
৬৬
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন