মাধবীলতা , কোন এক কালবৈশাখীর ঝড়ের রাতে আমার বুকেতে মাথা রেখে-
তুমি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলে ভালোবাসা গুলো কেমন হয়!
তোমার মুখের না বলা কথা গুলো চোখের ভাষায় বিগলিত হয়ে চেয়ে দেখছিল
পৃথিবীর সেদিনের সব সুন্দর মুহূর্ত গুলো।
তারপর আমি তোমার ললাটে,তোমার বুকের ভাঁজের ব্যস্ত উঠা নামায় আগ্নেয়গিরির লাভা স্রোতের
ক্রমাগত উদগীরণে
ভালোবাসার সুন্দর সংজ্ঞা গুলোকে উৎফুল্ল হয়ে উঠতে দেখেছিলাম।
আর আমার অনুভূতির সমস্ত সুন্দর স্পর্শ গুলো তোমায় ছুঁয়ে দেখছিল বারবার!
তুমি জানতে চেয়েছিলে,
কি নামে ডাকবো আমি তোমায় আরবার!
আমি অজস্র উপমায় ডেকেছি তোমায় অজস্র বার।
কালবৈশাখীর সেই সন্ধেবেলায় সব ঝড় যেন আমাদের মাঝেই উঠেছিল সেদিন।
তুমি বারংবার কাছে আসতে চেয়েছ , আমার উষ্ণতায় নিজের উষ্ণতার পরিমাপ আঁকছিলে ,
অতঃপর!
সেদিন গভীর রাতে,যখন তোমার হারিয়ে যাওয়া কপালের টিপ, কানের দুল ,
খোলা চুলের ভাঁজে সব ভালোবাসা গুলো যখন বাসা বেঁধেছিল,
তখন অনেক রাত,
আমি নক্ষত্র গুলো অনুরোধ করেছিলাম তোমার হৃদয়ে স্থায়ী আবাস গড়তে ,
তারা সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান
করেছিল লজ্জায়,
কেন না তারা’রা তোমার সৌন্দর্যে নিজের আলোক জ্যোতি হারাবার ভয়ে ভীত ছিল।
আমি আমার সমস্ত রোম কূপে তখন তোমার পরশে সাজিয়েছিলাম,
বৈশাখীর স্বর্ণ মাখা ঝড়ের সমস্ত চঞ্চলতা গুলো।
তোমার এলোমেলো চুলে হাত বুলিয়ে খুঁজছিলাম আর একটা কাল বৈশাখী ঝড়।
এরপর কত ঝড় এসেছে , ফিরেও গেছে তারা,
তোমাকে ছোঁয়া হয়নি আর, তোমার সাথে দেখাই হয়নি আর কখনো একাকী সন্ধায়, কত দিন!
মাধবীলতা, তোমাকে নিয়ে ভাবা উপমাগুলো আজকাল-
আমায় বড্ড একাকী সময় কে বিলীন করে দেয় অহরহ !
অতঃপর দুই দেশের কাঁটাতারের বিষণ্ণ বিকেল গুলোতে আমি নীলাকাশ ছুঁয়ে আসি!
এই বুঝি ঝড় গুলো পরস্পর নিজেদের কে কাছে ডাকবে,
একটু ভালোবাসার, সুন্দরের আরাধনায় তারা ফুঁসে উঠবে
সৃষ্ঠি সুখের উল্লাসে,
তারপর আমাদের মত খুঁজে ফিরবে সারারাত ,একা ,বড্ড একাকী জোসনায়!
শুধু হাথরস,বিলকিস আর কুস্তিগীররা আমার মতই একাকী চিৎকার করবে,আমার মত!
নক্ষত্ররা পালিয়ে বেড়াবে মধ্য গগন জুড়ে!
…..

২৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন