আজিজুল হক

কবিতা - নিকুঞ্জ, শুভ দাশগুপ্ত এবং মাধবীলতা

আজিজুল হক

নিকুঞ্জরা আজও মামুনির
ডায়ালিসিসের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে
টেবিলের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ..
নিকুঞ্জরা বেচে আছে আজও,
বেচে আছে আজও তাদের মানুনিরাও
কিন্ত বড্ড ধুঁকছে যন্ত্রণা আর ব্যথা বেদনায় …
সমাজতন্ত্র কিংবা পুঁজিবাদ—কিছুতেই যায় আসে না ওদের,
তোমার তত্ব কথা, জীবন দর্শন নিরন্ন মানুষদের কোন স্বপ্ন দেখায় না,
জাত-বেজাতের লড়াইয়েও তাদের সায় নেই আজ,
তারা বাঁচতে চায় …
দু মুটো অন্ন, একটূ চিকিত্সা আর মাথার উপর এক টুকরো ছাদ …
সবই তে তাদের অক্লান্ত লড়াই ।
না, তোমার মত অট্টালিকা চায় না ওরা,
সকাল-সন্ধে আমুদে রেস্টুরেন্টের স্বপ্ন দেখে না ওরা–
ওরা শুধু বাঁচতে চায় ..!
শোন মধু, নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথ-তাদের কাছে বড্ড বে-মানান আজ,
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আঁস্তাকুড়ে বিসর্জিত,
নেতৃত্বের রক্ত গরম করা ভাষণ গুলো,
আজ বড্ড অসহ্য আর অসহনীয় ..
তাদের ভোটে জিতে যারা অট্টালিকা গড়ে,
তারাই আজ বে-ঘরে!
নিকুঞ্জদের কোন কাগজ নেই,
এক টুকরো কাগজের মূল্য তারা বোঝে না,
ওরা বোঝে শুধু আবেগ আর ভালবাসায় গড়া
সোনালী ধানের ফসল ….
আকড়ে ধরে বেচে থাকার অদম্য প্রয়াস!
শাসকের বন্দুকের নল বারবার গর্জে উঠেছে,
বিষাক্ত বোমা-বারুদের গন্ধে কত নিকুঞ্জরা হারিয়েছে তাদের প্রাণ, তাদের ভবিষৎ ..
হিটলার কিংবা মুসোলিনী এক একটা ফ্র্যাঙ্কইস্ট্যাইন আজও তাই ব্যর্থ বারবার
তবুও ইতিহাস বেচে আছে রবীন্দ্রনাথে,
নজরুল কিংবা সুকান্তে…..
হ্যা, মধু, আমাদের একদল মানুষ চাই,
আরও আরও বেশি নিকুঞ্জ চাই–
মামুনীদের বুকে টেনে নিয়েও
দু: সময়ে যারা মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানে।
বড্ড দু: সময়ে আজ আর কবিতা আসেনা মাধবীলতা,
ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাড়িয়ে লাশ কাটা ঘরের
বীভৎস চিত্র গুলো
কোন শিল্পীর কারুকার্য নয় …মানব সভ্যতার কদর্য আর্তনাদ! …..

পরে পড়বো
৭৮
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন