ঋতুবতী নারীর অন্তর্লীন আকাঙ্কক্ষারও
ধারা তোমার দিকে চুইয়ে পড়ে—
প্রেম শুষে নেয় জলজ নিবেদন,
জ্যোৎস্নার ভেজা অভিসারে।

তোমার নিঃশ্বাসের ঢেউ-ফেরা ছন্দে,
প্রেমের উন্মত্ত ঘূর্ণিপাকে
দেওয়ালের ক্যানভাস জুড়ে আঁকব
অমোঘ প্রেমের জ্যোতি-শিরোনাম।

আমার অপার্থিব ভালোবাসার বিস্তারে
তোমাকে করব নিবিড় বিলীন—
জলছাপের নীল শিল্পকলায়,
আমার মীনাক্ষী চোখের
পাতায় পাতায় তোমার প্রতিচ্ছবি
জেগে থাকবে দিবানিশি।

হঠাৎ এক উন্মতাল নিশীথের গভীর প্রহরে
যখন তোমার জন্য হন্যে হয়ে
এলোমেলো হয়ে উঠবে আমার সত্তা,
তোমার উষ্ণ বুকে খুঁজে নেব
চির-চেনা আশ্রয়।

সেদিন তুমি জলের অতল গভীরে
হয়ে উঠবে আমার নাবিক—
চাইলে আমাকে নিয়ে ডুবে যেও
নিরাকার নীল গভীরতার ভেতর।
তারপর দেখবে—
আমি আর তুমি পৃথক নই,
নিরাকার জলের নীরব পাদদেশে
আমরা মিশে গেছি এক অবিভাজ্য সত্তায়,
এক অনন্ত প্রবাহে, একাকার হয়ে।
….. …..

পরে পড়বো
১৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন