১
বিশ্বাস
অনেক গাছের নীচে তুমি নেই কোনওদিন…
হাওয়া এসে ঘুরে যায়
জল থেকে চুপচাপ উঠে আসে হাঁস
পৃথিবী বিশ্বাস চায়… একটু বিশ্বাস…
কত গাছ অপেক্ষা করছে
এক জীবন… দুই জীবন!
এত শূন্যতায় বেঁচে থাকতে ভাল্লাগে না কারও
যেসব গাছের নীচে তুমি নেই কোনওদিন,
একাই দাঁড়িয়ে থাকি…
কী একটা বিশ্বাস ফিরে আসতেও পারো…
২
কেউ
মানুষ অবুঝ প্রাণী। তার একটাই ভাষা।
কোনও গাছ, কোনও প্রাণী কাঁদে না কখনও, কবি।
তারা হয় পায়, নইলে মরে যায় চুপিচুপি।
মানুষ অবুঝ । কান্না তার এক ধরণের দাবি।
তুমি কি তেমন অবুঝ?
তবে কাঁদো… কাঁদো, কাঁদো…
কান্না হোক নিয়ত ধারালো!
মানুষ অতৃপ্ত প্রাণী।
বৃষ্টির ভেতর কবে বেরিয়ে পড়েছি
প্রাণহীন… আবরণহীন…
চকিতে তবুও মনে হয়,
সেতুর ওপরে চুপিচুপি
একনিশ্বাসে কেউ কি দাঁড়াল?
৩
শূন্যতা
ঠোঁটের অভাব বুঝি।
পাখির অভাব।
ক্রমশ ফুরায় আয়ু…
ক্রমশ জগৎ ঘন…
আমার জীবন আর
প্রসবকাতর গাছ
যদি এক ভোরবেলা
কাছাকাছি আসে,
কোনো কথা বলবার নেই…
কোনো কথা বলবার ছিলো না কখনও
৪
প্রবল বৃষ্টির পর
দুঃখগুলো পার হয়ে আসি…
পার হতে হয়…
মরা ডালে পাতা গজানোর
দিনে বুঝি মনেই পড়ে না
দুঃখ এক শাশ্বত বিষয়…
কোনও একদিন
প্রবল বৃষ্টির পর
সামান্য ঝিঁঝিঁর ডাকে
হাউমাউ ফিরে আসতে পারে!
কাকে বলে বেঁচে-থাকা?
দুঃখের দিনের বন্ধু চোখে জল এনে
চেনা দিয়ে যায় বারেবারে…
৫
বিষাদের মাছগুলি
এই জল মূলত আমাকে
চিন্তা দেয়, আমি তার
পাশে জুবুথুবু বসে থাকি…
একটি অর্জুন গাছ মায়াবী জন্মের
ছায়া ফ্যালে জলে…
বিষাদের মাছগুলি ঘোরে ফেরে আর
আমি ভাবি শিরায় শিরায়
অন্ধকার বাজায় নিজেকে!
এভাবেই দেহত্যাগ নিয়ম হয়েছে…
সকল নির্জনে
জল প্রবাহিত হয় জলের অধিক…

৪৮
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন