আর ভাল লাগছে না আলোধুলো আলোধুলো আলোধুলো…
ধুর!
ত্বরিত গতিতে ছুটে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছি ঘুসঘুসে ঘুমফুলে শুধু…
আমি তো জড়িয়ে ধরতে চাইছি হা-অন্নহাওয়া…
ফেটে ছড়িয়ে পড়তে চাইছি মেষপালকের প্রিয় গোধূলি বরাবর…
কষ্ট গিলছি মাইরি বুনো ঝোপ দেখে কেঁদে ফেলার ভয়ে…
আরযে-কোনও দৌড়কে ভাবছি আত্মা থেকে শুরু…
কতবার হয়—একলা করে দেওয়ার পরেও বাক্য রাজি হয় না মোমবাতিতে…
ঘরের আড়াল ভেঙে চাঁদ-টাদ হুজ্জুতি বাধায়…
আর ভাল লাগছেনা… আর ভাল লাগছে না গালাগাল থেকে
ছেঁকে নেওয়া নাম যশ…
কতদিন পায়েস খাইনি…
ভূত দেখতে যাইনি গাব গাছের ওপাড়ায় …
বিরক্ত হইনি লিখতে লিখতে শব্দের লালা নেমে এলে…
ছিঁড়ে কুটিকুটি করিনি প্রশংসা, যা আসলে ঠান্ডা হুমকির মতন…
এবং এবং এবং…
২
কোনো অনুতাপই এখানে গ্রাহ্য নয়
কারণ জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়
এবারও গিয়েছে
যখন ছুটছিলাম লোম ওঠা প্রাচীন কুকুরের পিছু পিছু…
পুকুর পেরিয়ে
তেঁতুল গাছ টপকে
নাচ ময়ূরী বিলের জলে ভিজে
কেবল ছুটেছি এক দশক…
ভেবেছি পোকা ভরা প্রাচীনের কাছেই আছে অসম্ভব দিগ্ভ্রম!
এত বমি দুহাতে ধরেছি
এতপোকা আয়ত্ত করেছি ত্বকে
এত এতদুর্গন্ধ মুছেছি—-
নিশ্চিন্ত ছিলাম আমার জীবনে আকাশ ক্রমপ্রকাশ্য,
আমি ধ্রুবতারায় দোল খাব…
আমি সন্ধ্যাতারায় রেখে আসব ছন্দের অব্যর্থরতি…
এক দশক আমি ছুটেছি পেছন-পেছন…
একদশক ঘেঁটেছি পুঁজেভরা, ধুঁকে ধুঁকে চলা প্রাক্তন নেকড়ের গতি…
প্রবল ভক্তিতে বুঝতেই পারিনি
দিগন্ত একটি ভুয়ো নিসর্গ…
তার কোনো এপার-ওপার হয়না!
কোনো অনুতাপই এখানে গ্রাহ্য নয়
মোহ থাকবেই
মোহের জন্যই থুতু ভাল লাগে এত
মোহ আছে বলেই মেয়েদের বকুল দিতাম, সরাসরি সঙ্গম চাইনি
কোনো অনুতাপই এখানে গ্রাহ্য নয়
মোহ থাকবেই
কিন্তু প্রাচীন কুকুর, যাকে আমি দৈব ভাবতাম,সে কে?
সে আমাকে লোভ দেখাল কী ভাবে ধ্রুবতারা-সন্ধ্যাতারার?
আমিই-বা কোন চোখে দেখলাম কবিতাকে?
কেন ছুটলাম?
যতদিন না বধ্য ভূমি চিনলাম,
যতদিন না দেখলাম বালিতে মুখগুঁজে প্রাচীনের এলেবেলে মৃত্যু,
যতদিন না বুঝলাম আমিও প্রাচীন হচ্ছি…আমার পেছনেও ছুটছে কেউ…
আর কিছুদূর দৌড়লেই আমিও বালিতে মুখ গুঁজব…
স্পষ্ট টের পেলাম পালাতে হবে
পালাতে হবে
পালাতে হবেই
অনুতাপ নয়, মোহনয়,জীব শব্দটা এল
আর জীবন শব্দটা…
বুকের ভেতর জন্ম নিল গাছ
অনুতাপ নয়, মো হনয়, এসবই আমার ধারণা
ধীরজ্ঞানের মতো বুকের ভেতর আবহাওয়া পালটায়
আর সংগ্রাম পালটায়
আর গাছ পালটে পালটে এই এতদূর এলাম!

৩৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন