শব্দহীন ঢেউয়ের কাছে ছায়া রাখতো কেউ,
যার আঙুলে গড়া ছিলো এক অন্তরীক্ষ কবর—
অদৃশ্য অক্ষর খোদাই করতো, কেবল পুরাতন জলে।
তাকে ঘিরে হাঁটতো এক মুখহীন প্রতিচ্ছবি,
মেঘের চুলে বুনে দিতো মমতার জাল,
অথচ প্রতিবার সে ছিঁড়ে ফেলতো ছাঁটা রোদের ছায়া,
মিশে যেতো ফাটল ধরা দুপুরের ঈশানে।
জল আসতো, এলিয়ে পড়তো কাঁধে,
কিন্তু কারা যেনো ঢেকে রাখতো নীরবতায়,
ছায়া মেলে দিতো তপস্যার নামে—
যেনো আত্মদানের ছাতাও এক প্রকার শৃঙ্খল।
তখন গ্রীষ্মের মৃত কঙ্কাল বৃষ্টি চুমতো—
আর একটা মৃত্তিকা-গন্ধ শূন্যতাকে বলতো প্রেম।
অদ্ভুত সেই শরীর,
যা কাঁদতে পারতো না,
শুধু জলে গলে গলে হয়ে উঠতো স্পর্শাতীত রুদ্রাক্ষ।
আর একান্তে,
একটা ছায়া দাঁড়িয়ে থাকতো,
যার হাতে অন্ধকার ছাতা,
যা কোনোদিন মেলেনি ঈশ্বরের চোখে।
এভাবেই,
কেউ হয়তো ভালোবেসেছিল ঢেকে রাখতে,
অন্য কেউ ভালোবেসেছিল হারিয়ে যেতে—
এক ভিজে শবযাত্রার সুরে।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন