আমি জন্মেছি একটা ভাঙা দরজার ফাঁক দিয়ে,
যেখানে বাতাসের গন্ধে লাশের পচা মাংসের নোনা ঘ্রাণ,
আর একপাশে পড়ে ছিলো একটা অর্ধেক খাওয়া যৌনি।
সে যৌনি এক মৃত শিশুর জন্মদ্বার ছিলো,
যে জন্মানোর আগেই রক্তে ডুবে গিয়েছিলো—
তার ভ্রূণ গড়িয়ে পড়েছিলো রাস্তার নর্দমায়।
আমার চোখ খোলার আগেই আমি বুঝেছি—
জন্মের আগেই আমাদের শরীর বিক্রি হয়ে যায়,
আমাদের আত্মা বাঁধা থাকে টুকরো টুকরো দামে,
আর ঈশ্বর বসে থাকেন মাংসের চিত্তাকর্ষক দোকানে,
যেখানে স্তনের বোঁটা থেকে ঝরতে থাকে রক্তের রস,
আর মৃত নারীর উরুতে ঈশ্বরের নাম খোদাই করা থাকে।
আমার প্রথম খেলনা ছিলো একটা ছেঁড়া হৃদপিণ্ড,
যেটা এক ধর্ষিতার বুক চিরে কাটা হয়েছিলো,
তার শিরায় এখনো রক্ত শুকিয়ে কালো হয়েছে—
ঐ হৃদপিণ্ডের গায়ে লেখা ছিলো: “ভালোবাসা”।
আমি যখন প্রথম শিখেছিলাম হাঁটতে,
তখন পায়ের নিচে ছিলো কাটা আঙুলের স্তূপ,
আর আমার হাঁটার শব্দে পিঁপড়েরা ভয় পেয়ে পালাতো—
সেই আঙুলগুলোতে ছিলো খোদাই করা নাম: “বিপ্লব”।
আমি জানি, ঈশ্বর আজও বসে আছেন—
একটা বাজারে, যেখানে মৃত নারীর স্তন বিক্রি হয়,
আর ধর্ষণের পর ছিঁড়ে ফেলা যৌনি দিয়ে বানানো হয় তাবিজ।
ঐ তাবিজ ঝুলিয়ে রাখা হয় বালকের গলায়,
যাতে সে বড় হয়ে আবার কামনার ঈশ্বর হতে পারে।
আমি ঈশ্বরকে দেখেছি—
একটা মাংসপিণ্ডের চিত্তাকর্ষক সৌন্দর্যে,
যেখানে শরীর ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে পুঁজ আর ঘৃণা,
আর সেই পুঁজের গন্ধে ঈশ্বর হেসে ওঠেন,
বলতে থাকেন— “এটাই তো জীবন, এটাই তো প্রেম”।
তুমি যদি প্রশ্ন করো— “তুমি কে?”
আমি বলবো—
“আমি সেই কবি, যে জন্ম থেকেই মৃত,
যে শব্দ দিয়ে নরককে কবিতা বানাতে শিখেছে!”
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন