সকালের প্রতীক্ষা অথবা প্রতীক্ষার সকাল
কাজু বাদাম
তোমার সকাল আমার প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
যে সকালে আমার মা নিজ হাতে
বোনা ওলের সোয়েটার চাপিয়ে দিয়েছিল কাঁধে,
বাড়ির সামনে রাস্তায় উঠেই
খেয়েছি রহিমা খালার ভাপা পিঠা।
সে পিঠায় রং ছিল,
খেজুর রসের গন্ধ ছিল,
কংক্রিটের মত ভালবাসার বন্ধন ছিল
সেই সকালে।
তোমার সকাল আমার প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
সকালের পরেই সূর্য, ব্যস্ততা, জীবনানন্দ,
পাখির কলকাকলি আর ঘটিবাটির ছন্দ।
সাড়ে সাতান্ন ডিগ্রী এঙ্গেলে
সূর্যরশ্মি যখন আয়নাল মামার চটপটির প্লেটে
এসে পড়ে-
প্রচন্ড ঝাল সেই চটপটি।
অড়হরের দানার মত আমাদের হৃদয়।
কাঁচামরিচের দৃষ্টি আমাদের।
সেই দৃষ্টিতে যখন সূর্যরশ্মি ঠিকড়ে পড়ে
তখন,
কে যেন আমায় সুড়সুড়ি দেয়।
তীব্র সুড়সুড়ি।
প্রতীক্ষার সুড়সুড়ি।
তোমার সকাল আমার প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
আন্তঃনগর তিস্তা তখনও টাউন জংশনে দাঁড়ানো
জংশন থেকে দশ কদম ডানে, রিকসা;
রিকসায় করে বকুলতলা, সঞ্জু দা’র মুখের হাসি,
সঞ্জু দা’র একটা বইয়ের দোকান ছিল
ত্রিনয়ন;
ত্রিদৃষ্টির সীমানা যেখানে শেষ, যেখানে
আমার শৈশব, আমার কৈশোর
আমার মনের গাড়ি যে প্লাটফর্ম থেকে
কখনো ছেড়ে যায় নি।
আমি জামালপুর শহরের কথা বলছি।
শাহ্জামালের জামালপুরের কথা বলছি।
শিশু মোত্তাসিম বিল্লাহ্র কথা বলছি।
যে শিশু এক বছর বাদে ফিরেছিল ঘরে,
তার হাতে ভার্জিনের ক্যান ছিল।
তার মুখেও ছিল সকালের প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
১লা কার্তিক, ১৪২৩
নটকনের আখড়া।
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
যে সকালে আমার মা নিজ হাতে
বোনা ওলের সোয়েটার চাপিয়ে দিয়েছিল কাঁধে,
বাড়ির সামনে রাস্তায় উঠেই
খেয়েছি রহিমা খালার ভাপা পিঠা।
সে পিঠায় রং ছিল,
খেজুর রসের গন্ধ ছিল,
কংক্রিটের মত ভালবাসার বন্ধন ছিল
সেই সকালে।
তোমার সকাল আমার প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
সকালের পরেই সূর্য, ব্যস্ততা, জীবনানন্দ,
পাখির কলকাকলি আর ঘটিবাটির ছন্দ।
সাড়ে সাতান্ন ডিগ্রী এঙ্গেলে
সূর্যরশ্মি যখন আয়নাল মামার চটপটির প্লেটে
এসে পড়ে-
প্রচন্ড ঝাল সেই চটপটি।
অড়হরের দানার মত আমাদের হৃদয়।
কাঁচামরিচের দৃষ্টি আমাদের।
সেই দৃষ্টিতে যখন সূর্যরশ্মি ঠিকড়ে পড়ে
তখন,
কে যেন আমায় সুড়সুড়ি দেয়।
তীব্র সুড়সুড়ি।
প্রতীক্ষার সুড়সুড়ি।
তোমার সকাল আমার প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
আন্তঃনগর তিস্তা তখনও টাউন জংশনে দাঁড়ানো
জংশন থেকে দশ কদম ডানে, রিকসা;
রিকসায় করে বকুলতলা, সঞ্জু দা’র মুখের হাসি,
সঞ্জু দা’র একটা বইয়ের দোকান ছিল
ত্রিনয়ন;
ত্রিদৃষ্টির সীমানা যেখানে শেষ, যেখানে
আমার শৈশব, আমার কৈশোর
আমার মনের গাড়ি যে প্লাটফর্ম থেকে
কখনো ছেড়ে যায় নি।
আমি জামালপুর শহরের কথা বলছি।
শাহ্জামালের জামালপুরের কথা বলছি।
শিশু মোত্তাসিম বিল্লাহ্র কথা বলছি।
যে শিশু এক বছর বাদে ফিরেছিল ঘরে,
তার হাতে ভার্জিনের ক্যান ছিল।
তার মুখেও ছিল সকালের প্রতীক্ষা;
চারিদিকে শুধুই কুয়াশা, এমন সকাল।
১লা কার্তিক, ১৪২৩
নটকনের আখড়া।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১১২ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন