পতাকা

কবি ইমদাদ শাহ্ কবি ইমদাদ শাহ্

একটি পতাকা
প্রতিদিন তার নাভী মূল থেকে উর্ধ্বশিরে উঠে
আর আমি প্রতিদিন চেয়ে চেয়ে থাকি কি নাম দিব তার
একটি পতাকা যেখানে স্বাধীনতার সমস্ত চাওয়া পাওয়া
একটি জাতির সমস্ত রক্ত বিন্দু জড়ো করে
বিসর্জন দেয়া হয় একটি স্বাধীন পতাকা তলে
যা বিশ্ব বুকে একটি দেশের সুবাস গন্ধ ছড়িয়ে
উজ্জীবিত দেশের উত্থান তুলে ধরে উধ্বশিরে
যার গৌরব-গাথা শুধু একটি পতাকা এই একটি পতাকা
একটি দেশের শ্বাস প্রশ্বাসের ইতিহাস যার বুকে বহন করে
প্রতিটি উত্থান নীপিড়ন শোষন যার জমিনে লেখা
একটি পতাকা নেয়াৎ একট টুকরো কাপড়
দুটি রঙের জমিনে আবদ্ধ কোন কেতন চিহ্ন নয়
সমগ্ৰ দেশের ইতিহাস সংস্কৃতির গৌরব গাঁথা
এই একটি পতাকা এই একটি পতাকা
বুকের রক্ত ঢেলে শহীদেরা যে পতাকার লাল রং একেছিল
শকুনেরা খামচে ধরে ছিঁড়ে ফেলতে চাইছে
সেই রং সেই স্বাধীনতা সেই পতাকা
একদিন সবুজ প্রান্তর লাল হয়েছিল
এই একটি পতাকার জন্য
ভিনদেশীর কাছে দেশকে বিক্রি করে দেবার জন্য
না ভিনদেশের পুতুল হয়ে বেঁচে থাকার জন্য
আজ কোটি হাত সেই পতাকাকে সালাম জানায়
আমাদের পতাকা যেন প্রকৃতির পতাকা
যেখানে শহীদের রক্ত মাখা সূর্যের উদয় হয়েছে
যেখানে স্বাধীনতা চির জাগ্রত মুহুর্তের উল্লাস
প্রকৃতির সবুজ শ্যামলিমায় প্রকৃতির মানুষ
একেক জন বীর যোদ্ধা একেকটি বৃক্ষের মত
দাঁড়িয়ে আছে থাকবে আবহমান চিরদিন
একটি পতাকা
জনসমুদ্রের উত্তাল ঢেউ যার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করে
যার ইতিহাস আর সম্মান অক্ষুন্ন রাখার একটি পতাকা
যা যুগ যুগ ধরে তার সংগ্ৰামের ইতিহাস বহন করে
আমাদের পতাকার রং আমরা মেখেছি ধারন করেছি হৃদয়ে
লাল সবুজের জামিন রাঙানো উত্তেজিত রক্ত ফোয়ারা
যেন মাটির সৌরভ মাখানো মায়ের আঁচল
কত ত্যাগ কত নির্যাতন কত শোষন নীপিড়ন ছবি ভেসে ওঠে
এই একটি পতাকায়
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন