‎মহাবিদ্রোহী আমি।

‎​আমি সেই রুদ্র, আমি সেই কালবৈশাখীর ঝড়,
‎আমি মহাপ্রলয়, অগ্নি, আমি দাহন করি চরাচর!
‎আমি ইস্রাফিলের শিঙা, আমি ধ্বংসের রণতূর্য,
‎আমি চির-অশান্ত, আমি অন্যায়ের বুকে সূর্য!
‎আমি দুর্জয়, দুর্বার, আমি সকল বঞ্চনা হানি,
‎আমি সৃষ্টির আদি-অন্ত, আমি বিদ্রোহের বাণী।

‎​আমি সেই ক্ষুব্ধ জনতা, শত বছরের ক্রোধের রেশ,
‎আমি সেই তীব্র জ্বালা, যার নাই কোনো রোদ-লেশ।
‎আমি ভাঙনের দেবতা, আমি সকল পাপের নাশ,
‎মুক্তির আলো জ্বালি, দূর করি পৃথিবীর আঁধার আকাশ।
‎কোথায় সে জালিম রাজা? কোথায় সে অত্যাচারী ত্রাস?
‎কৃপাণ তুলে ধরেছি, আমি প্রতিশোধের মহা উল্লাস!

‎​আমি চির-উন্নত শির, আমি সকল শক্তির ধারক,
‎আমি কারো ভয়ে কভু হই না যে নত-শিরে পারক।
‎আমার চরণে বাঁধা বিশ্বের যত গ্রহ-তারা,
‎আমার হাঁকে কাঁপে পাপিষ্ঠের যত কারাগার।
‎ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, যত মিথ্যা সিংহাসন,
‎জাগাও বিপ্লব, জাগাও চেতনার যত প্লাবন।
‎আমি ধর্ম-অধিকার, আমি নীতির নির্ভীক সেনাপতি,
‎আমি সত্যের শপথ, আমি প্রাণের শুদ্ধতম গতি।

‎​আমি সেই অগ্নিবীণা, যার তারে বাজে ঝঙ্কার,
‎আমি সেই কাঁপন, যা ভেঙে দেয় ভয়ের যত বঙ্কার।
‎আমি ভয়হীন, আমি নির্ভীক, আমি বজ্রের হুঙ্কার,
‎আমার চোখে জ্বলে ওঠে মুক্তির অহঙ্কার।
‎আমি ঝড়ের তান্ডব, আমি প্লাবনের উন্মাদনা,
‎আমিই তো সেই যোদ্ধা, যার হাতে মুক্তির ডঙ্কা।
‎যত মিথ্যা ছিল জমা, যত ভণ্ডামি ছিল বিশ্বে,
‎আজ সব হবে চুরমার আমার বিদ্রোহী মিশনে!

‎​যতদিন না মিটিবে অত্যাচারীর রণ-হুঙ্কার,
‎যতদিন না থামিবে এই মুক্তির হাহাকার।
‎যতদিন না শোষক হবে ভীরু, ভয়ে অবনত-শীর,
‎ততদিন থামিব না, আমি বিদ্রোহী অনাবিল।
‎আমি শেষ বিচারের দিন, আমি সত্যের উদ্ভাসন,
‎আমার বাণী চির অম্লান— মুক্তি, মুক্তি চাই, সর্বক্ষণ!
‎আমার যুদ্ধ থামিবে না, যতক্ষণ না পাই সেই পূর্ণতা,
‎যেখানে বিরাজ করে শুধু মানুষের মানবতা!

পরে পড়বো
৩৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন