অতল শূন্যতা।

​এই ঘরটা আর কক্ষনো উষ্ণ হবে না। দেয়ালগুলো শুধু দীর্ঘশ্বাস টেনে নেয়। তুমি যাওয়ার পর, রং ফ্যাকাশে হয়েছে, বাতাস স্তব্ধ। সময় স্থির হয়ে আছে সেই শেষ বিকেলটায়, যখন আমাদের ভেতরের সমস্ত শব্দ একসাথে মরে গিয়েছিল।

​জানলার পর্দা আর সরে না। আলো এলে ক্ষতি কী? আলো দেখাবে—ঘরটা খালি, টেবিলটা খালি, আর আমি একা। একা শব্দটি এখন আর বিশেষ্য নয়, একটি স্থায়ী অবস্থা। একটি ঠাণ্ডা, কঠিন সত্য।

​স্মৃতিগুলো ধারালো কাঁচের টুকরোর মতো। ছুঁতে গেলে রক্ত ঝরে, কিন্তু ফেলে দিতেও ভয় হয়, পাছে আরও বেশি রক্তক্ষরণ হয়। আমি তোমার নাম উচ্চারণ করি না আর, পাছে সেই শব্দে আবার কোনো ভুল আশা ফিরে আসে।

​শেষ বিদায়টি মুখ ফুটে বলা হয়নি। সেটা শুধু চোখ বুঝেই অনুভব করা গিয়েছিল—যখন আমাদের দু’জনের পৃথিবীর মাঝখানে অদৃশ্য এক দেয়াল চিরতরে উঠে গেল। এখন আমি হাঁটি না, শুধু ভেসে বেড়াই—এই অতল শূন্যতার মধ্য দিয়ে।

পরে পড়বো
৩৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন