ফাকা ফুটপাতে দেখি ঝড়ে ভাঙা ডালপালা,
ল্যাম্পপোস্টর আলো উঁকি দিয়ে বৃষ্টির
জমানো জলে।
ঠান্ডা বাতাসের সাথে কানে এসে লাগে
ঘুঘুর ডাক।
বড্ড অসময়ে ডাকছে,
ব্যাঙ কিংবা ঝিঁঝিপোকার আওয়াজ মানানসই এ সময়ে।
হাঁটার গতির সাথে প্যান্টের পেছনের দিকে কাদার
উর্ধ্বগতি চলাচল।
আদা লং এর মিশ্রণে এক কাপ কড়া লিকারের চা হলে,
পায়চারী টা জমে যেত।
দূরে দেখি হাওয়ায় মিলিয়ে যায় নিকোটিনের ধোয়া,
মাঝবয়সী যুবক।
একটা ঝড় বয়ে যাবার পর যে শীতলতা বিরাজমান থাকে,
তাকে আমি শরৎ’এর শেষে আসন্ন শীতের সাথে
তুলনা করতেই পারি।
এতে কোনো নিয়ম ভঙ্গ হবেনা,
হবেনা কবিতার চরণমাঝে ব্যাকরণের নজরদারী।
রাতের অন্ধকার রাস্তায়,খোলা আকাশটাকে
নিজের মতো মনে হয়।
মনে হয়, এত ভাবনার মাঝে আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের
অনুভূতি,এই বুকটাতে কি অবলীলায় ধারণ করে রেখেছি।
নিজেকে বুঝে নিতে পারি বলেই,
অন্ধকার রাতে জোৎস্নার আশায় বসে থাকিনা।
দীর্ঘশ্বাসেও হেসে ফেলি এমনি করে,
আমাকে ভালো রেখেছি আমি,
আমার কাছে আমিই বড্ড দামী।
© Farhan Noor Shanto
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন