যে কবিতার বিক্রয়যোগ্যতা নেই
তাকে কি ছাপা খানায় জায়গা দেয়া উচিৎ?
বাকিসব পূর্ণ লেখার পাশে,
তাকে রেখে দেয়া যায় কি?
তাকে তুচ্ছ বলে ছুড়ে ফেলা উচিৎ কি?
যার মর্মার্থ লোকের হৃদপট ছুঁয়ে নিতে পারে না
সে কি বাতিলের খাতায় যোগ হলো?
বাতিল, সে’তো এক প্রকার বিয়োগ।
বিয়োগে কি সুর বাজে ?
ভেতর ভেতর ভাঙন, ছন্দের পতন
অন্তমিলের লাইনগুলোর বিচ্ছেদ ঘটে কি?
এ বিচ্ছেদে কি, কবিতার মাঝে লুকোনো কিছু মানুষের
কথা স্মরণ করিয়ে দেয়?
দোষ দ্বিধাদ্বন্দ্ব, কার ভুল বেশি ছিলো
কিংবা কে প্রথম এগিয়ে গেল না, সে হিসেব কি
মেলানো যায়?
এসব হিসেবের মাঝেই সে কবিতার কাগজ
দুমড়ে মুচড়ে মুঠোবন্দি করে বসে থাকি আমি।
মুঠোর মাঝে কিছু একটা তো আছে,
হোক সে বাতিল কবিতা।
০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন