বৃদ্ধাশ্রম
ফারহান নূর শান্ত
বৃদ্ধাশ্রম থেকে তাঁদের কেন ছুটি হয় না?
যে হাত ধরে বাবা মায়েরা সন্তানদের স্কুলে ছেড়ে আসতো,
সে হাত ধরেই সন্তানেরা,তাদের বাবা মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে ছেড়ে আসে।
স্কুল ছুটির পর অপেক্ষা করা ছোট্ট শিশুর মতোন ই তো
অপেক্ষায় বসে থাকেন তাঁরা।
কখন মা আসবে কখন বাবা আসবে!
শিশুরা তো জানতো,
তাদেরকে কেউ না কেউ নিতে আসবেই।
অথচ বৃদ্ধাশ্রমে সেই অপেক্ষার অবসান হয় না,
বৃদ্ধাশ্রমে ,ছুটির ঘন্টা বাজে না।
অপেক্ষা বিলম্বে পরিণত হয়,
চোখের জল শুকিয়ে আসে।
জানালার গ্রিলে,মরচে পড়তে থাকার মতো,
ক্রমশ কুঁচকে আসে, হাত পায়ের মলিন চামড়া।
চোখের কোণ থেকে কপাল,
ভাঁজে ভাঁজে ফুটে ওঠে বিষণ্ণতা,আপনজনের শূন্যতা।
ভাঙা ফ্রেমের চশমার কাঁচের আড়ালে,
ভোরের রোদ কি সন্ধ্যের সূর্য!
নিত্যদিন এই চলতে থাকে।
মা,বাবা ডাক শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে কান,
নিজের সন্তানকে বাবা,মা ডাকার জন্য কাঁপতে থাকে কণ্ঠনালী।
ক্রমশ গলা ধরে আসে,
ঢোক গিলে ফেলার মতো করে,
সেসব নীরবে গিলে ফেলেন তাঁরা।
এখানে ভোর হয় ,দুপুর হয়,বিকেল বা রাত
সন্তান হারা মা বাবাগুলো,
একে অপরের শেষকালের সাথী হয়ে থাকে,
হয়ে থাকে পরম বন্ধু হিসেবে।
তাঁদের দুঃখগুলো এক,বিচ্ছেদগুলো এক,
অযত্ন,অবহেলা আর অবজ্ঞায়
আশ্রয়ও একই জায়গায়।
বয়স্ক বাবা মায়েরা,বাড়তি ঝামেলার!
জঞ্জালের মতো ছুড়ে ফেলে ওরা।
বার্ধক্য ক্রমশ কাবু করতে থাকে,
বয়সের সাথে সাথে মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা।
তারপর,স্কুলের ছুটির ঘণ্টা বাজার মতো করে,
একদিন পৃথিবী থেকে ছুটি হয়ে যাবে।
আজ এঁর কাল তাঁর পরশু অন্যজনের।
এখানে প্রতিটি বিদায় সন্তান হারানোর থেকেও
বেশি কষ্টদায়ক।
শেষকালের সঙ্গীসাথী বলে কথা!
দাফন শেষে বৃদ্ধাশ্রমে ফেরার পর,
নতুন অপেক্ষায় প্রহর গুণতে হয়,
পালাক্রমে বিদায় নিতে থাকে একেকজন।
তবু বৃদ্ধাশ্রম থেকে ছুটি নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারে না,
ফেরে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী একটি ঘরে!
ঘর; কবর।
যে হাত ধরে বাবা মায়েরা সন্তানদের স্কুলে ছেড়ে আসতো,
সে হাত ধরেই সন্তানেরা,তাদের বাবা মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে ছেড়ে আসে।
স্কুল ছুটির পর অপেক্ষা করা ছোট্ট শিশুর মতোন ই তো
অপেক্ষায় বসে থাকেন তাঁরা।
কখন মা আসবে কখন বাবা আসবে!
শিশুরা তো জানতো,
তাদেরকে কেউ না কেউ নিতে আসবেই।
অথচ বৃদ্ধাশ্রমে সেই অপেক্ষার অবসান হয় না,
বৃদ্ধাশ্রমে ,ছুটির ঘন্টা বাজে না।
অপেক্ষা বিলম্বে পরিণত হয়,
চোখের জল শুকিয়ে আসে।
জানালার গ্রিলে,মরচে পড়তে থাকার মতো,
ক্রমশ কুঁচকে আসে, হাত পায়ের মলিন চামড়া।
চোখের কোণ থেকে কপাল,
ভাঁজে ভাঁজে ফুটে ওঠে বিষণ্ণতা,আপনজনের শূন্যতা।
ভাঙা ফ্রেমের চশমার কাঁচের আড়ালে,
ভোরের রোদ কি সন্ধ্যের সূর্য!
নিত্যদিন এই চলতে থাকে।
মা,বাবা ডাক শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে কান,
নিজের সন্তানকে বাবা,মা ডাকার জন্য কাঁপতে থাকে কণ্ঠনালী।
ক্রমশ গলা ধরে আসে,
ঢোক গিলে ফেলার মতো করে,
সেসব নীরবে গিলে ফেলেন তাঁরা।
এখানে ভোর হয় ,দুপুর হয়,বিকেল বা রাত
সন্তান হারা মা বাবাগুলো,
একে অপরের শেষকালের সাথী হয়ে থাকে,
হয়ে থাকে পরম বন্ধু হিসেবে।
তাঁদের দুঃখগুলো এক,বিচ্ছেদগুলো এক,
অযত্ন,অবহেলা আর অবজ্ঞায়
আশ্রয়ও একই জায়গায়।
বয়স্ক বাবা মায়েরা,বাড়তি ঝামেলার!
জঞ্জালের মতো ছুড়ে ফেলে ওরা।
বার্ধক্য ক্রমশ কাবু করতে থাকে,
বয়সের সাথে সাথে মৃত্যুর দিকে এগোতে থাকেন তাঁরা।
তারপর,স্কুলের ছুটির ঘণ্টা বাজার মতো করে,
একদিন পৃথিবী থেকে ছুটি হয়ে যাবে।
আজ এঁর কাল তাঁর পরশু অন্যজনের।
এখানে প্রতিটি বিদায় সন্তান হারানোর থেকেও
বেশি কষ্টদায়ক।
শেষকালের সঙ্গীসাথী বলে কথা!
দাফন শেষে বৃদ্ধাশ্রমে ফেরার পর,
নতুন অপেক্ষায় প্রহর গুণতে হয়,
পালাক্রমে বিদায় নিতে থাকে একেকজন।
তবু বৃদ্ধাশ্রম থেকে ছুটি নিয়ে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারে না,
ফেরে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী একটি ঘরে!
ঘর; কবর।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন