শিরোনাম - ফ্রী ফায়ার ও যুবসমাজ
লিখেছেন - শঙ্খদীপ কর
প্রকাশ - 2022-02-09 01:46:39 | ক্যাটাগরি - অন্যান
গল্প - একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে মোমো,ব্ল হোয়েলের মতো প্রভৃতি ইন্টারনেট গেম ভারতবর্ষব্যাপী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এরকম একটি ইন্টারনেট গেম হল ফ্রী ফায়ার। কিশোর থেকে পরিণত প্রায় সকল স্তরের মানুষ এই নেশাগ্রস্ত গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ছাত্ররা এই গেমের প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে যে তারা রীতিমতো খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা, পড়াশোনা, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করা সবকিছু ছেড়ে এই মারন গেমের পেছনে ছুটে চলেছে। অর্থাৎ এটি হল অত্যন্ত নেশাগ্রস্ত গেম। যার আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন ব্যাপার। বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতবর্ষে এই গেম ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। বেশিরভাগ যুবরা এই গেমের প্রতি আসক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে ১৩-২৫ বছরের মধ্যে তরুণ তরুণীরা বেশি জড়িয়ে পড়েছেন। এই নেশাগ্রস্ত গেমটি খেলার ফলে যুবসমাজের ভবিষ্যত দিন দিন অন্ধকারের দিকে এগিয়ে চলেছে। তারা মানসিক ও শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ছে। সবসময় খেলার ফলে মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ছে ও যন্ত্রনা হচ্ছে। এই খেলাটির ফলে যুবসমাজের হিংসার মনোভাব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই খেলাটি যুব সমাজের প্রান কেড়ে নেয়। এই খেলার ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও যুবসমাজ এই খেলার প্রতি এতটাই নেশাগ্রস্ত যে, তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ হারিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এই খেলার ফলে যুবসমাজের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক ছাত্র পরীক্ষায় খেলার পদ্ধতি লিখেছে। সর্বপরী যুবসমাজের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, খেলার ফলে যুবসমাজরা মোবাইল এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল এর দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের সমস্যা হচ্ছে। মস্তিষ্কের উপর চাপ পড়ছে, ফলে দিনদিন তারা খিটখিটে ও বদমেজাজি হয়ে যাচ্ছে। পরিবারক, বন্ধুবান্ধব, গুরুজনদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে না। তারা একাকিত্বে থাকতে চাইছে। সবার সঙ্গে আনন্দ করার মজাই ভুলে যাচ্ছে। খাওয়া- দাওয়া ছেড়ে ক্রমশ গেম খেলার ফলে পেটের অসুখ ও নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষে আমি উপরিউক্ত বিষয়ে এটাই বলব যে ফ্রী ফায়ার এর ফলে সমগ্র যুবসমাজ ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজের ভবিষ্যত দিন দিন অন্ধকারে অনাবৃত হচ্ছে। সকল অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ তারা যেন ছেলেমেয়েদের মোবাইল থেকে বিরত রাখেন অথবা মোবাইল দিলে তারা কি করছে তার নজর রাখবেন।।