কিভাবে লিখতে পারেন অনর্গল
অজস্র কবিতাএরকম – এতো সহজেই!
কবিতায় কিন্তু একটা পরম্পরা বা ধারাবাহিকতা বাঞ্চনীয়,যেমন – Ode to A Nightingale ,Ode to The West Wind ,Waste Land ,বাংলাদেশে শহীদ কাদরীর এক চমৎকার রাত্রি ‘, গুণদার ‘ হুলিয়া’, পশ্চিমবঙ্গের মৃদুল দাশগুপ্তের আঙ্গিক
একটু অমসৃণ হলেও তার ‘ জলপাই কাঠের এস্রাজ’ এরকম ইত্যাদি। আপনার প্রতিটি
কবিতায়ই- মান যেমনই হোক না কেনো, প’ড়ে যায় অজস্র লাইক কমেন্টস।আমি নিশ্চিত যে –
আপনার আইডির নাম চেঞ্জ করে
একটি পুরুষ নাম আর পুরুষের ছবি দিয়ে যদি প্রোফাইল পিকচার বসিয়ে দেন- লাইক কমেন্টস নেমে আসবে অর্ধেকের কোটায় ।এটা আসলে নারীদের প্রতি অবমাননা।নারী আইডি দেখলেই কবিতা হোক চাই না হোক,পাঠকমহল
লাইক কমেন্টের জন্য হামলে পড়ে
আর পুরুষ আইডি হলে স্বাভাবিকভাবেই
কবিতার মান অনুযায়ী লাইকের সংখ্যা সাযুজ্যমান নয়- বলাই বাহুল্য।এসব কথা
বোকা নারীরা বোঝে না আর বুদ্ধিমতিরা বুঝলেও এটা বোঝে না যে এটা নারীর প্রতি অবমাননা।আরে ভাই- লেখা তো মূল্যায়ন হবে
লেখা দেখে,কবির নাম বা ছবি দেখে নয়।
কিন্তু ফেসবুক নামক তামাশার ভূবনে
নারী আইডিগুলোই প্রাধান্য পেয়ে যায় আর
এ কারণে প্রকৃত কবিতাগুলি লাইমলাইট থেকে ১০০০ কিলো দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে এবং অর্বাচীন পাঠকগণ থেকে যান বিভ্রান্ত।-
এই হলো ফেসবুক- সাহিত্য কিংবা এই প্রজন্মের নারী- সাহিত্য।জানি আমার কথায় নারীগণ তেড়ে আসবেন।আসুক।আসলেইতো প্রমাণ হয়ে যাবে যে- আর কিছু না পারি,পারি না না–হয় দু’ কলম লিখে যেতে,তবু সাহস বা দুঃসাহসের কাঁধে ভর দিয়ে এই যে লিখে গেলাম সত্যভাষণ,
আজকের নারী তেড়ে আসলেও আগামী দিনে আবির্ভূত হবেন সেই নারী যার হাতে শোভা পাবে- ” বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল”।

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
১১৭
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন