জল ধুয়ে দেবো আমি তোমাদের ঘরে
গন্ধরাজ, তার পাতার মহিমা ছুঁয়ে
উল্লাসে কাঁপা সৃষ্টি সুখের মতো ভৈরবী বাজে
নিশ্ছিদ্র জানালায় দেয়ালের মুখ ভেসে ওঠে রন্ধনশালায় বংশবিস্তারের কারুকাজ
আর দোদুল্য নীরবতা শব্দিত হ’লে
নদীনগ্ননারীর কথা জানি
এরকম বর্ষায় ভুলে গেছে কথিত বৃষ্টির সুখ
সে এক কবি ছিল সান্তাক্লুজের কথা
কবিতায় লিখে জানিয়ে দিয়েছিলো-
বিমানবন্দরে যাবে না সে উড়ে
তবু চলে গেছে- একুশের স্বীকারোক্তি নিয়ে!
হায় সখী এরকমই হয়
বধূরা নিশ্চুপ রয় না আজ প্রথম প্রহরে
শাড়ির আঁচলে-পাড়ে
স্পন্দিত হতে চায় নিবিড় নিবিড় ঘুমঘোরে
কবিতা লিখবো না আর – ভেবে
কিঞ্চিৎ দূরে
সরে এসে দাঁড়িয়েছি মিছিলের পাশে
তবু জানি কবিতারা মিছিলেই
খুন হতে আসে।

জল ধুয়ে দেবো আমি
মুছে দেবো আত্মার শোক
এতদিন দিন ছিল তোমাদের
এইবেলা দিনগুলি আমাদের হোক।

পরে পড়বো
৩৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন